প্রকাশিত সংবাদে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও রাজাপালং বিট কর্মকর্তার ব্যাখ্যা

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি •

গত ২১ সেপ্টেম্বর দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদে প্রচারিত অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজাপালং বিট কর্মকর্তা মো. মনিছুর রহমান।

প্রচারিত সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত দাবী করে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি রাজাপালং বিটে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে পাহাড়, মাটি ও বন খেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছি এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকায় বিভিন্ন মহল আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। কারণ তারা কোনো সুযোগ করতে পারছেন না।

সর্বশেষ হরিণমারা এলাকার বনভূমি দখল করে নতুন করে স্থাপনা নির্মাণের খবর পেয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করি। পরে জায়গাটি পূণরায় দখল নিতে উক্ত প্রতিবেদক সহ বিভিন্ন পক্ষ এসে তদবির শুরু করে এবং বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আমাকে ম্যানেজের চেষ্টা করে। কিন্তু আমি আইন অনুযায়ী তাদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করি। পরে ওই জায়গায় পূণরায় স্থাপনা নির্মাণ করলে রেঞ্জ কর্মকর্তা মহোদয়সহ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং চারা রোপণ করা হয় ও দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং ৩, তাং: ০১/০৯/২০২৩ইং। এরপর পাহাড়খেকো ও ভূমিদস্যুরা বিভিন্নভাবে আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং হুমকি দিচ্ছে। অথচ তাদের সাথে আমার কোনো চেনাজানা নেই এবং ব্যাক্তিগত কোনো সম্পর্কও নেই।

তিনি আরও বলেন, দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে আমাকে জড়িয়ে নানা কথা লিখা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও অবান্তর। সংবাদে উল্লেখ করা বালি উত্তোলন কাজে জড়িত সরোয়ারের সাথে ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। প্রতিবেদকের অবৈধ আবদার না রাখায় প্রতিবেদক সম্পূর্ণ আক্রোশ মূলক এ প্রতি বেদন প্রকাশ করেছে।

এছাড়াও নিউজের একাংশে উল্লেখ করা হয়েছে, কেউ বনবিভাগকে কোনো তথ্য দিলে তা ফাঁস হয়ে যায় এবং এ সংক্রান্ত তথ্য এক সিপিজি সদস্যের কাছে রেকর্ড আছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। বনবিভাগ থেকে তথ্যদাতার কোনো তথ্য ফাঁস করা হয় না।

বিট কর্মকর্তা মনিছুর রহমান আরও বলেন, যেখানে বনভূমি দখল, অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের খবর পায় তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করি। পরবর্তীতে বন আইনে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। সেটা যতবড় প্রভাবশালী হোক রাজাপালং বিটে অপকর্মে জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সুতরাং বলা যায়, একটি পক্ষ সুবিধা নিতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে এবং যে সংবাদ ছাপিয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া। যা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা।

তাই বিভ্রান্তকর মিথ্যা সংবাদের প্রতি তীব্র নিন্দা ও জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি এ নিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

  • প্রতিবাদকারী:
  • মো. মনিছুর রহমান
  • বিট কর্মকর্তা,রাজাপালং বিট, ইনানী রেঞ্জ, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ

আরও খবর