মুহাম্মদ হানিফ আজাদ, উখিয়া •
কক্সবাজারের উখিয়ায় অতি দরিদ্রের কর্মসৃজনের নামে ৪২ কোটি টাকা লুটপাটের আশংকা। সরকার অতি দরিদ্রের নামে উখিয়ার ৪৩টি প্রকল্পের অধীনে ৪০ কোটি ৮৫ লাখ ৯২ হাজার ৮ শ টাকা বরাদ্দ দেয় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে।
জানা গেছে, রাজাপালংয়ে ৯টি, হলদিয়াপালংয়ে ৯টি, রত্নাপালংয়ে ৮টি, জালিয়াপালংয়ে ৯টি ও পালংখালীতে ৮টি, মোট ৪৩টি প্রকল্প গ্রহণ করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস।
শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় ৫ হাজার ১শ ৬৯ জন। ১৯৮ দিনের কর্মসৃজনে ঐ শ্রমিকরা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে দৈনিক বেতন হিসেবে ৪শ টাকা পেয়ে থাকবে।
২ সপ্তাহের অধিক কাজ শেষ হলেও শ্রমিকরা এখনো বেতন পায়নি বলে জানিয়েছেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মেম্বার আবদুর রহিম। তার অধীনে শ্রমিক রয়েছে ৭৮ জন।
প্রকল্পে ৫ হাজার ১শ ৬৯ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হলেও ভিআইপি শ্রমিক হিসেবে ১ হাজার শ্রমিক কাজে আসে না বলে জানিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল মামুন।
জানা গেছে, তারা ভিআইপি শ্রমিক হিসেবে ঠিকই মোবাইলের মাধ্যমে টাকা পেয়ে থাকে। এভাবে উখিয়াতে চলছে কর্মসৃজন প্রকল্পের কার্যক্রম। শ্রমিকের তালিকায় অতি দরিদ্রদের সাথে চৌকিদার দফাদারের নামও রয়েছে বলে জানা গেছে। তারা প্রকল্প শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
গত ১৮ আগষ্ট শনিবার থেকে কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও এখনো পর্যন্ত কোন শ্রমিকরা বেতন পায়নি। উক্ত কর্মসৃজন প্রকল্পের ৪০ কোটি, ৮৫ লাখ ৯২ হাজার ৮ শ টাকা নয় ছয় করে লুটপাট করার আশংকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সচেতন মহল।
জানা গেছে, রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চলীয় প্রকল্প গুলো নিয়ন্ত্রণ করে গ্রাম পুলিশ সাইফুল ইসলাম। কিছুদিন আগে পূর্ব দরগাহ বিল গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে মাহামুদুল হক কয়েকদিন কাজ করেও তাকে কাজে না যাওয়ার জন্য নিষেধ করেছে মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট সে একটি আবেদন করেছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল মামুন জানান, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে সরকার উখিয়া উপজেলার অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের অধীনে ৪০ কোটি ৮৫ লাখ ৯২ হাজার ৮ শ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এর বিপরীতে ৫ হাজার ১শ ৬৯ জন শ্রমিক ১৯৮ দিন জনপ্রতি ৪শ টাকা করে কাজ করবে। তারা টাকা পাবে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে।
তিনি জানান, শ্রমিকদের মধ্যে ১ হাজার শ্রমিক অনুপস্থিত থাকে। তারা টাকা পায় কিনা জানতে চাইলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কোন কথা না বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-