দীপন বিশ্বাস :
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিশেষ বিশেষ স্হানে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এখন থেকে সার্বক্ষণিক নজরধারী শুরু করা হয়েছে।
পর্যটকদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই এই উদ্যোগ। অপরাধীরা অপরাধ করে যেন পার না পায়।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ডিআইজি মো. আবু কালাম সিদ্দিক কক্সবাজার জোনস্হ ট্যুরিস্ট পুলিশের সম্মেলন কক্ষে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ডিআইজি মো. আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার হবে দেশী-বিদেশী পর্যটকের জন্য শতভাগ নিরাপদ একটি অঞ্চল। এ পর্যটন জেলার সম্ভাবনাময় সকল পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নানাভাবে কাজ চলছে।
ইতিমধ্যে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে সার্বক্ষণিক নজরধারী শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল স্পট ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও বসানো হবে এই ক্যামেরা।
তিনি বলেন, ‘পর্যটন জাতীয় অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে দেশীয় পর্যটকের সাথে বিদেশী পর্যটকের আগমন বাড়ানো গেলে জাতীয় অর্থনীতিতে রাজস্ব বাড়বে। এর জন্য একটি নিরাপদ পর্যটন জোন করতে যা যা করা প্রয়োজন তাই করবে ট্যুরিস্ট পুলিশ।’
পর্যটকের নিরাপত্তায় সকল ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করলে নিরাপদ পর্যটন অঞ্চল তৈরি সম্ভব।
এর জন্য সরকারের আইন মেনে পর্যটকদের কক্ষ ভাড়া প্রদান, খাবার বিক্রি, সুন্দর ব্যবহার জরুরী। কেউ আইন অমান্য করতে তা মেনে নেয়া হবে না।
সভায় পর্যটন খাতে নানা জটিলতা, সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। যা আলোচনা করে সমাধানের প্রতিশ্রুতিও দেন ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি।
মতবিনিময় শেষে সমুদ্র সৈকতে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিদর্শনের যান ট্যুরিস্ট পুলিশের হেডকোয়ার্টারের ডিআইজি মো. আবু কালাম সিদ্দিক।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-