বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে ডিজে ইথিকা

বিনোদন ডেস্ক •


বর্তমান সময়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ডিজে সুরাইয়া আক্তার ইথিকা। ডিজে ইথিকা নামেই সর্বত্রেই পরিচিত তিনি। ছোটবেলা থেকেই মিডিয়ার মানুষের প্রতি আগ্রহ থাকায় দিন দিন মিডিয়া প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন ইথিকা।

মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পরবর্তীতে ২০২০ সালের তার গুরু অয়ন আহমেদ হাত ধরে ও তার সাহায্যে কাজ শুরু করেন ইথিকা। তার সাহায্যেই ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিত হন। শুরু হয় ফিমেল ডিজে হিসাবে কঠিন পথ চলা। ইতিমধ্যে তিনি ২০২২ সালে শ্রেষ্ট ডিজে হিসাবে এআইইউবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওল্ড ক্যাম্পাস থেকে সম্মাননা পান ডিজে ইথিকা।

পরিবারের ২ বোন ১ ভাই মধ্যে ইথিকা সবার ছোট। পিতা ব্যবসায়ী, মাতা গৃহিণী, বোন শিক্ষিকা ও একমাত্র ভাই বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবি।

ইথিকার মিডিয়াতে আসার শুরুতে তার আব্বু কখনোই ভালো ভাবে মেনে নেয় নাই। তবে মিডিয়া সেক্টরটা নিয়ে এখন তেমন কিছু বলে না তার আব্বু। সাপোর্টিং ছিল একমাত্র তার আম্মু, সবসময় সাহায্য করছে,কোন বিষয়ে আটকে গেলে বা কোন সমস্যা হলে তার আম্মু সবসময়ই হেল্প করার জন্য ট্রাই করতো।

ডিজে ইথিকা ২০১৯ সালে ঢাকা যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাশ করেন, ২০২১ সালে ঢাকা আর কে চৌধুরী কলেজ এইচএসসি পাশ করেন। বর্তমানে উচ্চতর ডিগ্রী নেওয়ার জন্য একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত আছে।

ইথিকা জানান, বিদেশে ডিজে মিউজিক অনেক জনপ্রিয়। খুব সহজে দর্শকের কাছে পৌঁছানো যায়। বাংলাদেশে ডিজে মিউজিককে আরো জনপ্রিয় করার জন্যে আমরা ফিমেল ডিজেরা কিছু কাজ করে যাচ্ছি।
ফিমেল ডিজে হিসেবে মানুষের মধ্যে যে খারাপ ভাবনা গুলো আছে ফিমেল ডিজেদেরকে নিয়ে সেগুলো তিনি দূর করতে চান।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের অবস্থানকে আরো সুসংগত করে,নিজেকে ইন্টারন্যাশনাল পর্যায়ে একজন ফিমেল ডিজে হিসাবে প্রতিষ্টিত করাই নিজের স্বপ্ন।

ডিজে ইথিকা আরো জানান, ফিমেল ডিজে বাংলাদেশে এখনো হাতেগোনা। সংখ্যায় ২০ এর নিচে। বাংলাদেশে ফিমেল ডিজে হিসাবে কাজ করা অনেক চ্যালেঞ্চ। তারপরও আমরা যারা কয়েকজন ফিমেল ডিজে আছি তারা চেষ্টা করে যাচ্ছি ফিমেল ডিজেদের একটা ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করতে। তাই ফিমেল ডিজেদের ট্রোলের জন্য গায়ের চামড়া মোটা করেই যে কোনো কাজে নামতে হবে, তা রাজনীতি হোক কিংবা অভিনয় কিংবা চাকরি। কে কী বলল, তা ভাবনায় আনা যাবে না। কারন অনেক সময় সাধারণ বিষয়কেও ট্রোলকারীরা তিল থেকে তালে রূপান্তরিত করে।

তার কথায়, সফলভাবে সামনে এগিয়ে যেতে হলে, ট্রোল নামক শব্দগুলো এড়িয়ে চলতেই হবে। নিজের কাজ যতক্ষণ সৎ ও সঠিকভাবে করে যাচ্ছি, ততক্ষণ কোনো কিছু নিয়েই তার ভাবনা নেই।
ইথিকা আরো বলেন, মোটিভেশন এর দিক থেকে বলা যায় যে আমি যখনই ভেঙে পড়েছি বা আমার মনে হয়েছে আমি আর পারব না, আমার এখানে স্টপ হয়ে যাওয়া উচিত সেই ক্ষেত্রে আমাকে ভালো সাহায্য বা এগিয়ে যাওয়ার জন্য সাহস এবং অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে তৃষা,পাভেল,বাঁধন ও ফটোগ্রাফার রাহুল চৌধুরী লুনা।

শীতকালীন সময়ে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত বেশী থাকা হয়, কিছু বছরের অন্যান্য সময় দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রোগ্রাম থাকে আমার।