বিশেষ প্রতিবেদক •
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন ইনানী রেঞ্জে থামছেনা সংরক্ষিত বনভূমি দখলের প্রতিযোগিতা। বনবিভাগের উচ্ছেদ অভিযানের পরও তোয়াক্কা করছেনা দখলদাররা। উচ্ছেদের পরপরই আবার শুরু হয় বনভূমি দখল।
সরেজমিনে, ইনানী রেঞ্জের রাজাপালং বিটের হরিণমারা এলাকায় দখলের এ দৃশ্য দেখা যায়। খবর নিয়ে জানা যায়, নতুন করে ১২০ শতক সংরক্ষিত বনভূমি দখল করে দুটি স্থাপনা নির্মাণ করে করে মীর কাশেম ও সিরাজুল হক। প্রথম নির্মাণ করা স্থাপনা গুড়িয়ে দিলেও বনবিভাগের কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনার ঘন্টা পরপরই পুনরায় দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে তারা।
বিষয়টি বার বার রাজাপালং বিট কর্মকর্তাকে অবগত করলেও উচ্ছেদ করার কথা বলেন। পরবর্তীতে বন মামলা দায়েরের কথা জানান। ঐ অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা ফিরোজ আল আমিন জানিয়েছেন, বিষয়টি জানার পরপরই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার(৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় পুনরায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে বিট কর্মকর্তা মনিছুর রহমান। সেখানে স্থাপনা নির্মাণের আশপাশে চারা রোপণ করে দখল করে নির্মাণ করা টিনের বাড়ির বাইরের একটি অংশ খুলে ফটোসেশান করে অভিযানের সমাপ্তি করেন।
একইদিন বিকেলে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থাপনা নির্মাণ আগের অবস্থায় এবং দখলে থাকার দৃশটি দেখা যায়। সর্বশেষ শনিবার(৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেখা যায়, আরও বড় করে স্থাপনা নির্মাণ করে তারা বনভূমি নিজেদের দখলে রেখেছেন।
অন্যদিকে, তুতুরবিল বাঘঘোনা এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলনের দৃশ্য দেখা যায়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তা কে অবহিত করা হলে তিনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান।
উচ্ছেদ অভিযানের নামে ফটোসেশান নাটক করে চলে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজাপালং বিট কর্মকর্তা মুঠোফোনে বলেন,”আমরা উচ্ছেদ করেছি,রেঞ্জ অফিসার সহ গিয়ে আবার উচ্ছেদ করেছি মামলা দিয়েছি। পুনরায় দখল থাকলে আবার মামলা দিবো।”
তবে, উচ্ছেদ অভিযানের পর পুনরায় দখলের বিষয়ে ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তাকে জানালে তিনি ক্ষুদে বার্তায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান,”এটি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেক কাজ ভাই রেঞ্জ অফিসারের,চাপ অনেক। একই জিনিস নিয়ে আর কত বলেন।”
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-