নিজস্ব প্রতিবেদক •
উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়াপালং হাকিম মাতবর পাড়া এলাকায় নির্মিত হযরত ওমর (রা:) জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজের জন্য ৫০ হাজার অনুদান দিলেন তরুণ ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক সোহেল চৌধুরী।
শুক্রবার (১৮ আগষ্ট) জুমার নামাজ আদায়ের পর মসজিদের চলমান কাজের উন্নয়নের জন্য মুসল্লীদের উপস্থিতিতে এ অনুদানের ঘোষণা দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী আবদুস সালাম, আলহাজ্ব ফজলুল হক সও:, প্রফেসর নুর মোহাম্মদ, মসজিদের অন্যতম সদস্য নুর মোহাম্মদ, এড. মাসুদ কায়সার, ব্যবসায়ী শাহাআলম সহ অত্র এলাকার মুরব্বিগণ।
এসময় তরুণ ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক সোহেল চৌধুরী বলেন, আমি আমার মরহুম মায়ের আত্মার মাগফেরাত কামনায় কাজ করে যাচ্ছি। তাই আল্লাহর ঘর মসজিদের জন্য আমার মায়ের ঈছালে ছওয়াবের জন্য আমার তরফ থেকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করে যাবো।
তিনি আরও বলেন, হযরত ওমর (রা:) জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় গ্রামের মুসল্লীরা নামাজ আদায় করবেন এবং এলাকার ছোট ছোট বাচ্চাদের কোরআন শিক্ষা দেওয়া হবে এটাই আমাদের বড় পাওয়া।
তিনি এলাকার জনপ্রতিনিধি ও বিত্তশালীদের যার যার অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করার আহবান জানান এবং তাঁর মরহুম মায়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, জানা যায় রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া মাতবরপাড়ায় বেড়ে উঠা সোহেল চৌধুরী তাঁর মায়ের মৃত্যুর পরে নিঃস্বার্থভাবে অবহেলিত, খেটে খাওয়া মানুষের খেদমতে তার অর্থ-শ্রম ব্যয় করে দিনযাপন করছেন। তিনি প্রতিনিয়ত মানুষের উপকারে ছুটে চলেছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে রত্নাপালং ইউনিয়নের হাতিরঘোনা শাহ জাব্বারিয়া আদর্শ নুরানী মাদ্রাসার কোমলমতি ২০০ জন শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে যাবতীয় টুল-টেবিল,ফ্যান-পাকা অনুদান দিয়েছেন।
অন্যদিকে বৃহত্তর চাকবৈঠার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের কাজে সিমেন্ট সংকটের খবর শুনে কাজের অগ্রগতিত জন্য মুহুর্তেই ৫০ বস্তা সিমেন্ট পাঠিয়েছেন।
একই দিনে একই এলাকায় করইবনিয়া বাশঁবাগান পাহাড়পাড়া জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটি সোহেল চৌধুরীর কাছে মসজিদের চলমান উন্নয়নের কাজে লোহার গ্রিল-দরজার অভাবের কথা তুলে ধরলে তাদের এই দরজা জানালা ব্যবস্থা করার আশ্বস্ত করে ৩ দিনের মধ্যে এই দরজা-জানালা পাঠিয়ে দেন।
এ ছাড়া বৃহত্তর ভালুকিয়া ফৈজাবাপের পাড়া জামে মসজিদে সাউন্ড- স্পিকারসহ কিছু আর্থিক সংকটে ইসলামী দ্বীনি কাজে অভাববোধ করার কথা শুনে তিনি মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে নগদে ২০ হাজার টাকা অনুদান দেন। আমতলী হিলফুল ফুজুল হেফজখানা ও নুরানী মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে একটি পরিত্যক্ত ভবনকে নতুন করে সংস্কার করে দেওয়ার দায়িত্বভার নেন তিনি।
শুধু তাই নয়, তিনি কাজ করছেন যুব-সমাজিক সংগঠন, মানবিক সংগঠন ও অসহায়ত্ব নিয়ে। গরিব-আসহায় ও দিনমজুর শ্রমিকের নানা সমস্যা ও নানা অসুখের চিকিৎসাসহ বিভিন্নভাবে আর্থিক সাহায্য সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দেওয়ার দৃশ্যমান কার্যক্রম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল হচ্ছে।
এদিকে, সম্প্রতি রত্নাপালং ইউনিয়ন তথা উখিয়ার আনাছে কানাছে অবহেলিত জনপদে সোহেল চৌধুরীর বিচরণ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এতে করে সম্প্রতি আলোচনা সৃষ্টি করেছেন তিনি। তার এ মহৎ কাজ ও সামাজিক উন্নয়নে নিঃস্বার্থ অবদানে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার ছোট-বড় সকলেই।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-