নিজস্ব প্রতিবেদক :
পাচারের শিকার সকলের পাশে থাকব, বাদ যাবে না কেউ” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে কক্সবাজারের উখিয়ায় স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা (ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন)-এর উদ্যোগে আন্তজার্তিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন এবং জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সমন্বয়ে বিশ্ব মানবপাচার প্রতিরোধ দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
৩০ জুলাই (রোববার) সকাল ১০টায় জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে ইপসার প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও মানবপাচার প্রতিরোধ ফোকালপারসন যীশু বড়ুয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সৈয়দ আলম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আল মাহমুদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার গুলশান আক্তার, কোষ্টগার্ড প্রতিনিধি বিকাশ কুমার বড়–য়া, উখিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দে, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব তরিকুল ইসলাম, আইওএম প্রতিনিধি সায়েদুজ্জামান, ইউপি সদস্য আজিজুল হক, জালাল আহমেদ, জাকির হোসেন, জাহিদুল আলম, কামাল হোসেন, মর্জিনা আক্তার, রোজিনা আক্তার, ইপসার প্রজেক্ট অফিসার তানিম রহমান মিতু।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইপসার প্রজেক্ট অফিসার শুভ্র অধিকারী ও শানুচিং মারমা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস এম ছৈয়দ আলম বলেন, “মানুষ লোভে পড়ে মানব পাচারের শিকার হচ্ছে। আমাদের সবাইকে সচেতন হয়ে দালালদের লোভনীয় প্রস্তাব থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে”।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল মাহমুদ বলেন, “অত্র উপজেলায় বিশেষ করে জালিয়াপালং ইউনিয়নে মানব পাচারের হার খুব বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে বেশকিছু শিশু পাচারের ঘটনা শোনা যাচ্ছে। তাই আমাদের অভিভাবকগনের আরো বেশি সতর্ক থাকা উচিত”।
কোষ্টগার্ড প্রতিনিধি বিকাশ কুমার বড়ুয়া বলেন, “মানব পাচার সম্পর্কিত যেকোন তথ্য আমাদেরকে দিলে আমরা অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করব। সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে আমরা মানব পাচার প্রতিরোধের জন্য সচেষ্ট থাকব”।
আইওএম প্রতিনিধি সায়েদুজ্জামান বলেন, “শুধু জালিয়াপালং বা উখিয়া নয়, পুরো কক্সবাজার জেলাই মানব পাচারের জন্য অন্যতম ঝুকিপূর্ণ এলাকা। এই এলাকায় মানব পাচার কমিয়ে আনতে সচেতনতা বৃদ্ধিই অন্যতম মাধ্যম”।
উখিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জনাব রতন কান্তি দে বলেন, “২০১৭ সালে রোহিঙ্গা আগমনের পর থেকে অত্র এলাকায় মানব পাচারের প্রবনতা বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। বছরের পর বছর স্বপ্নতাড়িত তরুনদের করুণ পরিনতি এবং তাদের পরিবারের নিঃস্ব হয়ে যাওয়া কোনমতেই মেনে নেয়া যায় না”।
প্রোগ্রাম ম্যানেজার যীশু বড়–য়া বলেন, “উখিয়া উপজেলা বিশেষত জালিয়াপালং সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হওয়ায় এই এলাকায় মানব পাচারের প্রবনতা অনেক বেশী। এ অবস্থা নিরসনে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই”।
অনুষ্টান শেষে মানবপাচার প্রতিরোধ বিষয়ক একটি ভিডিও প্রামান্য চিত্র এবং পথ নাটক প্রদর্শন করা হয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-