মাদক পাচারের ঘাঁটি নাজিরপাড়া: ৪০ হাজার ইয়াবা নিয়ে ধরা পড়লো ৪ কারবারি

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •


টেকনাফ ৪০ হাজার ইয়াবার চালানসহ চার জন মাদক কারবারীকে আটক করেছে র‍্যাব-১৫ সদস্যরা।

ধৃত মাদক কারবারীরা হচ্ছে- টেকনাফ সদর ইউপি ৮ নং ওয়ার্ড উত্তর নাজিরপাড়া এলাকার শামছুল আলম’র পুত্র সৈয়দ আলম (৩৩), শীলবুনিয়া পাড়ার মৃত নাজির আহমদ’র পুত্র সৈয়দ আহম্মদ (৩৪),
নাজিরপাড়া এলাকার নূর ইসলাম’র পুত্র নূরে আলম (৩২) ও মোঃ ইসহাক’র পুত্র মোঃ ইসমাইল (২২)।

২৯ জুলাই (শনিবার) সকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উক্ত ইউপি শীলবুনিয়া পাড়া এলাকায় অভিযানটি পরিচালনা করেছে বলে প্রেস বার্তার মাধ্যমে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন

র‌্যাব-১৫’এর কক্সবাজার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’এন্ড মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবু সালাম চৌধুরী।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে, টেকনাফ উপজেলার শীলবুনিয়া পাড়া এলাকার টেকনাফ বাজার টু সাবরাং বাজারগামী পাঁকা রাস্তায় কতিপয় মাদক কারবারী চক্র অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয় অথবা অন্যত্র পাচার করার জন্য উক্ত এলাকায় অবস্থান করছে।

সেই তথ্য অনুযায়ী র‍্যাবের অভিযানিক দল শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ৫ টার দিকে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান চলাকালিন সময়ে র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কারবারীরা কৌশলে পালানোর চেষ্টা করার সময় চারজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে ধৃত ব্যক্তিদের দেহ এবং সাথে থাকা পলিথিন ব্যাগ তল্লাশী করে সর্বমোট ৪০,০০০ পিস ইয়াবা,৪টি স্মার্ট ফোন, ৪টি বাটন ফোন এবং ১৩টি সীম কার্ড উদ্ধার করা হয়।

ধৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে টেকনাফ সদর ইউপি নাজির পাড়া এলাকাটি ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ঘাঁটি হিসাবে সারা দেশে পরিচিত।

বিগত দুই বছর আগে উক্ত পাড়া থেকে ইয়াবা পাচার আগ্রাসন অনেকটা কমে গিয়েছিলো। তবে ইদানিং পুনরায় মাদক পাচারের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেছে।

তথ্য নিয়ে আরো জানা যায়, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে নাজির পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব সদস্যরা বিপুল পরিমান ইয়াবার চালানসহ ৫/৬ জন মাদক কারবারীকে আটক সক্ষম হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছে যারা আটক হচ্ছে তারা বহনকারী। ইয়াবা পাচারে জড়িত মুল হোতারা এখনো রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। আড়ালে থাকা মুল হোতাদের আইনের আওতাই নিয়ে না আসলে উক্ত এলাকা দিয়ে মাদক পাচারের আগ্রাসন আরো বৃদ্ধি পাবে।

আরও খবর