সমকাল •
কক্সবাজারের উখিয়ায় খাল খনন ও বন সৃজনে নামমাত্র কাজ দেখিয়ে ঠিকাদার এবং সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ অভিযোগ অনুসন্ধানে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে প্রকল্প-সংশ্লিষ্টদের।
জানা যায়, উপজেলার বালুখালী এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১৯-২০ অর্থবছরে দুটি খাল খননের উদ্যোগ নেয় সরকার। কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নবারুণ ট্রেডার্স লিমিটেড। দুটি খাল খনন ও এর পাড়ে বনায়নের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয় ২৬ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ১০ দশমিক ৮০০ কিলোমিটার লম্বা দুটি খাল ৮ ফুট ৩ ইঞ্চি গভীর করে খনন, দু’পাশে গাইড ওয়াল নির্মাণ এবং তীরে ১৩ হাজার ৮৬০টি গাছের চারা রোপণের জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু গত রোববার বালুখালীতে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রথম খালটি মাত্র দুই-তিন ফুট গভীর। খালের দু’পাশে দুই-এক কিলোমিটার বাউন্ডারি দেখা গেলেও মাঝখানে অনেক জায়গায় স্লাভগুলো উঠে গেছে। তবে পাড়ে কয়েক কিলোমিটার হেঁটেও রোপণ করা কোনো গাছ দেখা যায়নি।
স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের দাবি, কাজ ঠিকমতো না করে এলজিইডির প্রকৌশলীদের সহযোগিতায় নবারুণ ট্রেডার্স সরকারি টাকা লোপাট করেছে। ইতোমধ্যে তারা এ বিষয়ে দুদকে অভিযোগ করেছেন। এর প্রেক্ষিতে এলজিইডির উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী (বর্তমানে ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত) রবিউল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘প্রকল্পের ৪০ শতাংশ কাজ হয়েছে। কার্যাদেশ অনুযায়ী পরিপূর্ণ কাজ করা হয়নি। কাজ করার সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের আপত্তির গুরুত্বই দেয়নি।’
দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে নবারুণ ট্রেডার্সের মালিক খোকা চৌধুরী বলেন, ‘কার্যাদেশ অনুযায়ী শতভাগ কাজ শেষ করে কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছি।’
অভিযুক্ত এলজিইডির উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলামেরও দাবি, কাজে কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-