ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে কক্সবাজারের জেলা জজ

নিজস্ব প্রতিবেদক •

আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে করা এক মামলায় আসামিদের জামিন দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন কক্সবাজারের জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল।

বুধবার (১৯ জুলাই) বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

আসামিদের জামিন মঞ্জুর করে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২১ জুন রুলসহ এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোদেস্তা বেগম (রিনা) হাইকোর্টে আবেদনটি করেন।

আবেদনকারী পক্ষ জানায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মিঠাছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ ভুট্টোসহ নয়জনের বিরুদ্ধে জমির দখল নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত–১ ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী দ্রুত বিচার আদালতে নালিশি মামলা করেন খোদেস্তা বেগম।

এই মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন আসামিরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ এপ্রিল তাদের ছয় সপ্তাহের মধ্যে কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেশ আদালত। গত ২১ মে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালত ৯ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই দিন এর বিরুদ্ধে আসামিরা কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত সব আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন খোদেস্তা বেগম।

আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন জানান, আসামিরা ২১ মে দুপুর ১২টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগেই চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আদেশের কপি পাননি উল্লেখ করে সকাল ১০টার দিকে আদেশের বিরুদ্ধে জামিনের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হলফনামাসহ আবেদন করেন আসামিরা। জেলা জজ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। আদেশে উল্লেখ করা হয়, হাজতবাসের মেয়াদসহ সার্বিক বিবেচনায় আসামিদের জামিন মঞ্জুর করা হয়।

অথচ ৯ আসামি হাজতেই ছিলেন না। হাইকোর্টের শুনানিতে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। এর প্রেক্ষিতে জেলা ও দায়রা জজ আসামিদের কীভাবে জামিন দিলেন- সেই ব্যাখ্যা জানাতে তাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

আরও খবর