গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •
প্রতি মাসে শত কোটি রাজস্ব আয়ের মুল চাবিকাঠি টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তাণী কার্যক্রম হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেছে!
তথ্য নিয়ে জানা যায়, ৯ জুলাই (রবিবার) ট্রাক মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ হঠাৎ করে ধর্মঘটের ডাক দেয়। এতে প্রতি দিনের ন্যায় মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসা বিভিন্ন প্রকার মালামাল ওঠানামা বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে সকাল থেকে স্থলবন্দর থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক যায়নি।
এদিকে হঠাৎ করে বন্দরের কার্যক্রম বন্দ হয়ে পড়ায় সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান গণমাধ্যম কর্মিদের জানিয়েছেন, স্থলবন্দরে ট্রাক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের কর্মবিরতি চলার খবর শুনেছি। ট্রাক মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।
সূত্রে আরো জানা যায়, রবিবার সকালে সাড়ে তিন হাজার আদার বস্তা নিয়ে একটি ট্রলার মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে। শ্রমিক না থাকায় আদাভর্তি ট্রলারটি জেটি ঘাটে নৌঙর করা রয়েছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের শ্রমিক নেতা আজগর মাঝি সাংবাদিকের জানিয়েছেন ‘সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন শ্রমিকের সঙ্গে কোন কথা বলেনি। যার ফলে স্থলবন্দরে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সেও নাকি শুনেছে ট্রাক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ধর্মঘট ডেকেছে।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুরও গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, ট্রাক না পাওয়ার কারণে নাকি (ব্যবসায়ীরা) মালামাল খালাস করতে পারিনি। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার সমস্যা ছিল না।
খবর নিয়ে আরো জানা যায়, বন্দর কর্তৃপক্ষ ট্রাক,শ্রমিক ঐক্য পরিষদকে দেওয়া আশ্বাস সময়মত বাস্তবায়ন করছেনা।
বন্দরে ট্রাক চালক-শ্রমিকদের বিশ্রামাগার,পার্কিংয়ের কোনো সু-ব্যবস্থা না থাকা এবং নানা প্রকার হয়রানির অভিযোগে এ ধর্মঘট ডেকেছে তারা।
আরেকটি সূত্র বলছে ধর্মঘটের পেছনে মূল নেপথ্য ব্যবসায়ীদের হাত রয়েছে। এছাড়া ট্রাক শ্রমিকের কিছু অসাধু লোকজন স্থলবন্দর থেকে মালাবাহী ট্রাক বের করে নিরাপদ স্থানে গিয়ে মাদক বহন করে থাকে।এ নিয়ে তাদের মধ্যও দ্বন্দ্ব রয়েছে।
টেকনাফ ট্রাক মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্যসচিব জাফর আহমেদ বলেন, ‘চালক-শ্রমিকদের বিশ্রামাগার, পার্কিংয়ের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হলেও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ দাবিগুলো পূরণ করছে না। তাই আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছি। আমরা আশা করছি বন্দর কর্তৃপক্ষ খুব শীঘ্রই এসব সমস্যা সমাধান করবে।
টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘শ্রমিক না আসার কারণে সকাল থেকে স্থলবন্দরে পণ্য উঠানামা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু কারা কি কারণে ধর্মঘট ডেকেছে সে বিষয়ে তিনি নাকি জানেনা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-