টেকনাফ পাহাড়ের বাচ্চা হাতি শাহপরীরদ্বীপ ঘোলার চরে: কর্তাদের দায়সারা ভাব!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •


টেকনাফের নেটং পাহাড় নামক গহীন অরণ্যের আবাসস্থল ছেড়ে নাফনদে নেমে এসেছে একটি বাচ্চা হাতি।

৩ জুলাই(সোমবার) সকালে এই বাচ্চা হাতিটি গহীন পাহাড়ের অরণ্য থেকে নেমে নাফনদের উপকুল দিয়ে শাহপরীদ্বীপ সংলগ্ন নাফনদের ঘোলার চর নামক এলাকায় অবস্থান নেয়।

অথচ বনবিভাগের কর্মরত দায়সারা দায়িত্ব পালনকারী কর্তারা গণমাধ্যমকর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে জানিয়েছে বাচ্চা হাতিটি নাকি মিয়ানমার থেকে এসেছে।

এদিকে (সোমবার) দুপুর থেকে বনবিভাগের কর্মীরা হাতি শাবকটি বনে ফেরানোর জন্য দায়সারা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। অবশেষে সন্ধ্যার আগেই হাতিটি শাহপরীর দ্বীপ ঘোলার চর ঝাউ বাগানে ঢুকে পড়ে। সেখানে উপকূলীয় বন বিভাগের কর্মীরা হাতিটিকে পাহারায় রেখেছেন।

টেকনাফ বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম সরকার গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছেন, বাচ্চা হাতিটি শাহপরীর দ্বীপ উপকূলীয় ঝাউ বাগানে অবস্থান করছিল। আমরা সহযোগিতা করে এটিকে বনে ফেরানোর চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু বিশাল ঝাউ বাগানের ভেতর থেকে হাতি শাবকটিকে বের করা সম্ভব হয়নি। শাবকটির বয়স আনুমানিক ৬/৭ মাস হতে পারে।

উপকূলীয় বন বিভাগের টেকনাফস্থ রেঞ্জ কর্মকর্তা বশির আহমদ খান বলেন, সম্ভবত মিয়ানমার থেকে এই শাবকটি নাফনদে নেমে আসে। আমরা চেষ্টা করছি এটিকে বনে ফেরানোর জন্য।

শাহপরীর দ্বীপের জেলে নুরুল আমিন বলেন, সকালে হাতির শাবকটি নাফনদের উত্তর দিক থেকে সাঁতরে দক্ষিণে যেতে দেখেছি। পরে এটি শাহপরীর দ্বীপ ঘোলার চরের ঝাউ বাগানে অবস্থান নেয়।

উল্লেখ্য, এর আগেও বেশ কয়েকবার টেকনাফের পাহাড় থেকে নাফনদের উপকুলে নেমে এসেছিলো হাতি। তখনও সংশ্লিষ্ট কর্তারা স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদেরকে ভুল তথ্য দিয়ে বলেছিলো হাতি গুলো নাফনদ সাঁতরিয়ে টেকনাফ এসেছে।

আরও খবর