আবদুল্লাহ আল আজিজ, কক্সবাজার জার্নাল •
কক্সবাজারের উখিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে জবরদখলে থাকা বনভূমির ০.২০ একরের বেশি জায়গা দখলমুক্ত করে বনায়ন করেছে বনবিভাগ।
বুধবার (২১ জুন) সকাল ১০ টার দিকে উখিয়া রেঞ্জের আওতাধীন ভালুকিয়া বিটে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলমের নেতৃত্বে বন-কর্মকর্তারা এ অভিযান পরিচালনা করেন।
বনবিভাগ সুত্রে জানা যায়, বনভূমির জায়গা অবৈধ দখলদারের হাত থেকে রক্ষা করতে উখিয়া রেঞ্জ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় উখিয়া রত্নাপালং মৌজার ভালুকিয়া বিটের ০.২০ একর জমি অবমুক্ত করে করে প্রায় ২ শতাধিক আকাশমণি গাছের চারা রোপণ করে প্রাথমিকভাবে সরকারী সম্পত্তি হিসাবে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, ভালুকিয়া বিট কর্মকর্তা ছৈয়দ আলম, দৌছড়ি বিট কর্মকর্তা রাকিব হোসাইন রাজু, উখিয়া সদর বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান সজল, ওয়ালা বিট কর্মকর্তা এমদাদুল হাসান রনিসহ বন-কর্মকর্তার অন্যন্য স্টাফরা।
এসময় ভালুকিয়া বিট কর্মকর্তা সৈয়দ আলম জানায়, অবৈধভাবে জবরদখলে থাকা বনভূমির জায়গা দখলমুক্ত করে প্রাথমিকভাবে আমরা প্রায় ২শ মতো গাছের চারা রোপণ করেছি। এই গাছের চারা বা জায়গায় কেউ পুণরায় জবরদখলের চেষ্টা করলে বন-আইন অনুযায়ী দখলকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উখিয়া রেঞ্জ অফিসার গাজী শফিউল জানায়, বনভূমি সরকারি সম্পত্তি,বনবিভাগের প্রতিটি দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের দায়িত্ব বনভুমির জায়গা এবং পাহাড় কাটা, জবরদখল এসবের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষা করা। আমাদের দায়িত্বশীল স্থান থেকে বনবিভাগের সম্পদ রক্ষা করতে প্রতিনিয়ত ডিপার্টমেন্টের লোক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ভালুকিয়া বিটেও এরকম একটি সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। সেই জায়গাটিতে আকাশমণি গাছের চারা রোপণ করে বনায়ণ করা হয়েছে। এটি এখন থেকে বনবিভাগ দেখাশোনা এবং পর্যবেক্ষন করবেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারি বনভূমি উদ্ধারে বনবিভাগ সচেষ্ট রয়েছে। সরকারি জমিতে কেউ স্থাপনা নির্মাণ করলে উচ্ছেদ করা হবে এবং জবরদখল কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বনভূমি রক্ষার্থে যথাযথ ভূমিকা পালন করবো। অভিযান চালিয়ে ভূমি জবরদখল এবং পাহাড়খেকোদের আইনের আওতায় আনা হবে। বন অপরাধ দমনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-