মোঃ মাসুম হোসেন:
আমাদের সমাজে একটা প্রচলিত কথা আছে “ঘাট পার হলেই ঘাইট্যা শালা”। কথাটি শুনতে কেমন যেন বেমামান মনে হলেও বাস্তবতার আলোকে পুরোপুরি সঠিক। অনেক অনুনয়, বিনয় করার পরে যখন ঘাট পার হয় তখন ঘাটের মাঝিকে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা তো দূরের কথা তার প্রাপ্য টুকুও দেয় না সমাজের এক শ্রেণীর চরম অকৃতজ্ঞ মানুষ। তারা বিপদ কেটে গেলেই খোদাকে পর্যন্ত ভুলে যায়।
আমাদের চারপাশে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা চরম আকারের অকৃতজ্ঞ।
এদের জন্য কেউ কোন কিছু করলে তাতে তারা কখনো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ তো করেই না, বরং যে উপকার করে তার উপকার স্বীকার পর্যন্ত করে না। এরা যখন কোন উপকারের দরকার পড়ে তখন ভিজা বিড়াল হয়ে থাকে। ইনিয়ে-বিনিয়ে এর ওর কাছে সাহায্য চায়।
একে ওকে ধরে তাকে সাহায্য করতে। তার দরকারে পাশে থাকতে। নিজেকে সে সেই সকল সময় চরম ভাল মানুষ হিসেবে তুলে ধরে। একটা ইনোসেন্ট লুক আনে চেহারায়। কথায় যেন মিষ্টতা ঝড়ে পড়ে।
মধুর কথা দিয়ে অন্যদের মন জয় করতে চায়। নিজে এমন ভাল মানুষীর রুপ ধরে যেন তার চেয়ে সৎ ও মহৎ ব্যাক্তি জগতে আর নেই!
এদের আচরণ দেখলে মনে হয় বড্ড আন্তরিক মানুষ এরা। আসলে নিজের দরকারের জন্য এরা তখন আসল রুপ লুকিয়ে অন্য রুপ ধরে।
সে সময় তাদের দরকারে অনেকে নিঃস্বার্থ ভাবে পাশে দাঁড়ায়। চেষ্টা করে তাদের প্রয়োজন মিটাতে।
এদের পাশে থাকতে।
অনেক সময় নিজের দিক থেকে অনেকটা ছাড় দিয়ে হলেও এরা অপরের পাশে থাকতে চায়। সাধ্যমতো চেষ্টা করে এ সব মানুষের উপকার করতে। যখন এরা অপরের উপকার করে তখন তারা এর কোন প্রতিদান চায় না। কিন্তু যাদের উপকার করে তাদের ভিতরে অনেকে কখনো এদের কোন উপকার স্বীকার তো করেই না! এমনকি কোন কৃতজ্ঞতা বোধও প্রকাশ করে না। বরং সুযোগ পেলেই যে উপকার করে তার নানা রকম ক্ষতি করতে চেষ্টা করে। তাকে নানা ভাবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। সে যে এক সময় তার উপকার করেছে এটা ঘুণাক্ষরেও তাদের মনে পড়ে না! উল্টো তাকে নানা ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে। অকৃতজ্ঞতার চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটায় আচরণে।
আসলে এই ধরনের মানুষগুলি মানুষ নামের অমানুষ।
এদের ভিতর কোন মনুষ্যত্ব নেই! নেই কোন কৃতজ্ঞতা বোধ। এদের আচরণ চরম নিন্দনীয়।
তাই প্রতিটি মানুষের কেউ তার উপকার করলে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা বাঞ্ছনীয়।
(বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে কাছের কিছু অকৃতজ্ঞ মানুষদের নিয়ে লিখা)
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-