গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •
টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের বাহারছড়া এলাকার বেশ কয়েকজন মাদক কারবারী নিজেদেরকে আড়ালে রেখে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মাদকের চালান ক্রয়-বিক্রয় অব্যাহত রেখেছে।
সূত্র বলছে, অত্র এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, আব্দুস সালামের দুই পুত্র আবুল বশর (২৭), মো: আমিন(২৯)।
৫ জুন তাদের বসতবাড়ী থেকে ৭ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে ডিএনসি সদস্যরা। অভিযান চলাকিলীন সময়ে কোন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে না পারলেও আবুল বশর ও মো: আমিনকে পলাতক আসামী করেছে ডিএনসি।
টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর অফিস থেকে তথ্য নিয়ে আরো জানা যায়, গত ১৯ মে (শুক্রবার) গোপন সংবাদের মাধ্যমে তথ্য পেয়ে টেকনাফ (ডিএনসি) সদস্যদের একটি চৌকস দল কক্সবাজার কলাতলি বাসষ্টেশন ডলফিন মোড় থেকে টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত আর্মড পুলিশ (এপিবিএন) এসআই রেজাউল করিম (৪৭) ও তার স্ত্রীকে ২০ হাজার ইয়াবাসহ আটক করেছিল।
এরপর উক্ত ঘটনায় রুজু করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোপন সংবাদে জানতে পারে ধৃত ঐ অসাধু পুলিশ সদস্যের সাথে মাদক কারবারে জড়িত অপরাধীদের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। তার কাছ থেকে সেই তথ্য গুলোর রহস্য বের করার গত ২৫ মে উক্ত আসামীর ২ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তা মঞ্জুর করে দেয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টেকনাফ (ডিএনসি) অফিসে কর্মরত ইন্সপেক্টর বিদ্যুৎ বিহারী সত্যতা নিশ্চিত করে আরও জানান, ঐ অসাধু (এপিবিএন) সদস্যেকে গত ৪/৫ জুন দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে আসার পর তার কাছ ওই এলাকার থেকে মাদক পাচারে জড়িত ব্যাক্তির নাম পাওয়া গেছে। পাশাপাশি সে স্বীকার করেছে তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ২০ হাজার ইয়াবা সাবরাং ১নং ওয়ার্ড বাহারছড়ার মাদক কারবারী আবুল বশরের কাছ থেকে ক্রয় করেছে। তার বসত বাড়ী থেকে নাকি বড় বড় ইয়াবার চালান ক্রয়-বিক্রয় হয়।
সেই সূত্র ধরে গত ৫ জুন (সোমবার) রিমান্ডের আসামীসহ (ডিএনসি) একটি চৌকষ দল সাবরাং ইউপির ঐ এলাকায় অভিযানে যায়।
এসময় অভিযানের উপস্থিতি টের পেয়ে একটি সেমিপাকা বসতবাড়ী থেকে মাদক কারবারে জড়িত ব্যক্তিরা কৌশলে পালিয়ে যায়। এরপর রিমান্ডের আসামীর দেখিয়ে দেওয়া উক্ত বাড়ীর ভিতরে তল্লাশী করে শয়নকক্ষের ১টি আলমিরা থেকে ৭ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় অভিযানিক দল।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মে টেকনাফে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) সদস্যরা কক্সবাজার কলাতলি ডলফিন মোড় থেকে ২০ হাজার ইয়াবার চালান নিয়ে স্ত্রীসহ আটক হয়েছিল সিরাজগঞ্জের রাজাপুর ইউনিয়নের সমেশপুর মন্ডলবাড়ী এলাকার মৃত আলতাফ হোসেনের পুত্র রেজাউল করিম (৪৭) ও তার স্ত্রী মলিনা পাশা (৪৪)।
রেজাউল করিম টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন আলিখালী রোহিঙ্গা শিবিরে ১৬ এপিবিএনে এসআই পদে কর্মরত ছিল।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-