বিশেষ প্রতিবেদক •
কক্সবাজারের উখিয়ায় এক চেয়ারম্যান ও এক মেম্বারের বিরুদ্ধে বাড়িঘর ভাংচুর, বসতভিটা, গাছপালা কর্তন, পুকুর থেকে মাছ লোপাটের অভিযোগে এবার সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার। তার বিরুদ্ধে এর আগেও নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে মামলা রুজু করেছে সুলতান আহমদ নামে এক ব্যক্তি।
মঙ্গলবার (৩০ মে) উখিয়া প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন করে চেয়ারম্যান, মেম্বারের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছেন নির্যাতিত পরিবার।
এ সময় নির্যাতিত পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মরিচ্যাপালং গ্রামের আবদুল খালেক প্রকাশ মনু সওদাগরের ছেলে মো: আবদুর রহিম।
তার বয়বৃদ্ধ পিতা, দুই ভাই ও স্কুল পড়ুয়া দুই শিশু সন্তানকে সাথে নিয়ে ৩নং হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কাসেম চৌধুরী ও ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহান শাহীনের অত্যাচার ও অনাচার থেকে রক্ষাসহ এবং আইনী প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণে সাংবাদিকদের মাধ্যমে এসব তথ্য তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি বলেন, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি ও আমার পরিবার নৌকার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করি ও নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ায় আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমান চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েসের পক্ষে ভোট না করার অপরাধে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য মিলে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে আমার বসতভিটা জবর দখলের ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্হার প্রক্রিয়া চলছে।
গত সোমবার ২৯ মে সকাল ৮ টার দিকে চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী ও ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহাজাহানের উপস্হিত থেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
ওই সময় সংঘবদ্ধ চক্র সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে আমার স্বত্বদখলীয় বাড়ি ঘর ভাংচুর, লুটপাট, গাছ পালা- ঘেরা টেংরা কেটে তছনছ ও সেমিপাকা বিল্ডিং ঘর জবর দখলসহ বসত ভিটা জোর জবর দখল করে নেয়।
আবদুর রহিম সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, আমি বিগত ৩১/০৭/২০১৩ সালে নোটারী পাবলিক কার্যালয় সম্পাদন করে ৩৫৪ নম্বর নোটারী মুলে পশ্চিম হলদিয়া এলাকার জনৈক মৃত শফিকুর রহমান প্রকাশ কালা মিয়া গংদের কাছ থেকে তৎকালীন সময়ের উচিৎ মুল্য দিয়ে ৪০ শতক এবং জনৈক মৃত বদিউল আলমের কাছ থেকে ২০ শতক বসভিটার জমি ক্রয় সুত্রে মালিক হই। যা বন্দোবস্তের জন্য আবেদীত।
উক্ত জায়গাটিতে বিগত ১০/১২ বছর ধরে কোন ধরনের বাধা-বিপত্তি ছাড়া পরম শান্তিতে ভোগ দখল করে আসছি। পাশাপাশি জমিটাকে বসতভিটার উপযোগী করার জন্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে একটি পুকুর, সুপারি বাগানসহ বিভিন্ন ফলজ বাগান রোপন করে পরিচর্যা করে সুফল ভোগ করে আসছি। আমি স্ত্রী, সন্তান, পরিবার পরিজন নিয়ে থাকার জন্য ৬০ লক্ষ টাকা খরচ করে ঘর বাড়ি করে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বসবাস করে আসছি।
মূলত: চেয়ারম্যান ইমরুল কবরস্থানের জন্য খাস জায়গা উদ্ধারের কথা বলে আমাকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের নামে অপরাজনীতি করেছে। সে খাস জমি থেকে উচ্ছেদ করার কে? সরকারের প্রয়োজনে জেলা-উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উচ্ছেদ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্ম আলী বলছেন বিষয়টি ইতিমধ্যে অবগত হয়েছি। এজাহার পেলে তদন্ত করে দেখব এবং আইনগত ব্যবস্হা নিব।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-