কক্সবাজারে প্রস্তুত ৫৭৬ আশ্রয়কেন্দ্র

কক্সবাজার প্রতিনিধি •

কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় ৫৭৬ সাইক্লোন সেন্টার পরিষ্কার করা হচ্ছে। এছাড়াও জেলার ২০ লাখ নগদ টাকা, ১৫০ মেট্রিক টন চাল, তিন টন বিস্কুট, তিন টন শুকনো কেক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ান জানান, শুকনো খাবারসহ আনুষঙ্গিক মালামাল উপজেলায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিশুদ্ধ খাবার পানি ও পানি বিশুদ্ধ করণ ওষুধও সরবরাহ করা হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জেলার প্রতিটি উপজেলায় পাঁচ টন চাল পাঠানো হয়েছে। কক্সবাজার সদর, মহেশখালি, কুতুবদিয়া ও টেকনাফে দেড় লাখ নগদ টাকা পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ৪৯০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন মজুদ রয়েছে। আরও পাঁচ লাখ টাকা ও পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ চেয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, দুর্যোগ শুরু হলে উপকূলীয় এলাকার মানুষকে নিরাপদে নেওয়ার প্রস্তুতিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক টিম, রেডক্রিসেন্ট, স্কাউট, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, আবহাওয়া বুলেটিনে ঘূর্ণিঝড়ের বার্তা এলেও দ্বীপে বৈরী আবহাওয়া শুরু হয়নি। এরপরও প্রশাসনের নির্দেশনায় আমরা প্রস্তুতিমূলক সভা করেছি। দুর্যোগ শুরু হলে যানমাল রক্ষায় কারা কোথায় অবস্থান করবো তা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল। এ অবস্থায় সাগরে গোসল করা নিরাপদ নয়। এমন পরিস্থিতি হলে পর্যটকদের সাগরে গোসল করতে অনুৎসাহিত করা হচ্ছে। এখনো বক্সবাজারে বৈরী আবহাওয়া নেই।

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আমাদের উপকূলে থাকা সাইক্লোন শেল্টারে সোয়া পাঁচ লাখ লোক ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। যে কোনো দুর্যোগে নিজের অবস্থান হতে সবাই এগিয়ে এলে সেটি মোকাবিলা সহজ হয়।

আরও খবর