আরসা প্রধানসহ ৮ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিলে ১০ লাখ টাকা পুরষ্কার

ডেস্ক রিপোর্ট •

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীসহ ৮ জনকে ধরিয়ে দিতে কক্সবাজারের উখিয়ার ও টেকনাফের নেচার পার্ক রোহিঙ্গা শিবিরে পোস্টার লাগানো হয়েছে।

সচেতন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রচারে ওই পোস্টারে বার্মিজ ভাষায় তাদের সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করে তথ্য দিয়ে সহায়তার পাশাপাশি ধরিয়ে দিলে ৫-১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

শুক্রবার দুপুরে উখিয়ার ১২/১৩ ও ২/৪ নম্বর ক্যাম্প ও টেকনাফের দমমিয়া নেচার পার্কসহ বিভিন্ন ক্যাম্পে এ ধরনের পোস্টার দেখতে পান সাধারণ রোহিঙ্গারা।

পোস্টার প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বে থাকা ১৬-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জামাল পাশা বলেন, পোস্টার বিভিন্ন ক্যাম্পে দেওয়া হয়েছে সেটা সঠিক তবে তা আমরা প্রকাশ করিনি। পোস্টারে থাকা ব্যক্তিরা সবাই ‘আরসা সন্ত্রাসী’, আমরা তাদের আগে থেকে ধরার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, ক্যাম্পের বিভিন্ন স্থানে আমাদের নজরদারি রয়েছে। গোয়েন্দা তৎপরতাও রয়েছে। তাদের দেখা গেছে, এমন কোনো খবর আসলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

পোস্টারে থাকা ব্যক্তিরা হলেন- আরকান রোহিঙ্গা স্যালভ্যাশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী, মাওলানা আকিজ, শামসু উদ্দিন, মৌলভী মোস্তাক আহমেদ, রহমত উল্লাহ মুসা, নুর কামাল ওরফে সমি উদ্দিন, মোস্তাক আহমেদ এবং ওস্তাদ খালেদ।

রোহিঙ্গাদের মতে, পোস্টারে বার্মিজ ভাষায় যা লেখা ছিল- ‘তারা সন্ত্রাসী। এ মানুষগুলোকে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান। যদি কোনো ক্যাম্পে কেউ তাদের দেখতে পায় তাহলে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করার জন্য বলা হলো। তাদের ক্যাম্পে কেউ দেখলে তথ্য দিয়ে সহতায় করলে ৫ লাখ এবং ধরিয়ে দিলে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে।’

উখিয়ার রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ নুর বলেন, ‘আজকে সকাল থেকে বিভিন্ন ক্যাম্পের ব্লকে ব্লকে এ ধরনের পোস্টার দেখা যাচ্ছে। যেখানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরেও এসেছে।

নেচার পার্ক ক্যাম্পের বাসিন্দা নুর আলম বলেন, ‘পোস্টারে যাদের ছবি আছে, তারা সবাই আরসা সন্ত্রাসী। বিশেষ করে এরা সবাই উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাদের (সন্ত্রাসীরা) পালিয়ে এখানে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তাই তাদের গ্রেপ্তার করতে পারলে ক্যাম্পে শান্তি ফিরবে। আমরাও চেষ্টা করছি তাদের ধরিয়ে দিতে। ক্যাম্পের অর্ধেক অপরাধ এদের নিয়ন্ত্রণে চলে। বিভিন্ন সময় মহড়াতেও তাদের দেখেছি। আমরা সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছি।

আরও খবর