উখিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার ধান কেটে ঘরে তুলে দিল যুবলীগ নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক •

কক্সবাজারের উখিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ আহম্মদ। ১৯৭১ সালে রনাঙ্গনে যোদ্ধকরে দেশ স্বাধীন করেনছেন। এই মৌসুমে এক একর জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফসলও বেশ ভালো হয়েছে। কদিন আগেই সকল ধান পেকে গেলেও শ্রমিকের অভাবে সোনালি ফসল ঘরে তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন জাতির এই সূর্য সন্তান।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ আহমদের জমির পাকা ফসল ঘরে তুলতে ব্যর্থ হওয়ার খবর পান উখিয়া উপজেলা যুবলীগের নেতা ও হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী। বৃহস্পতিবার সকালে অর্ধশতাধিক যুবলীগের নেতা কর্মীদের নিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা মফিজ আহম্মদ এর ধানকাটতে যান চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী। সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত একটানা কাজ করে উখিয়া যুবলীগের নেতারা বীরমুক্তিযোদ্ধা মফিজ আহম্মদ এর পাকা ধান তার ঘরে তুলে দিতে সক্ষম হয়েছে।

চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী উদ্যোগে খুশিতে উদ্বেলিত মুক্তিযোদ্ধা মফিজ আহম্মদ। তিনি বলেন, “আমি শ্রমিকের অভাবে পাকা ধান ঘরে তুলতে পারিনি। এই ধান নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে খুবই চিন্তিত ছিলাম। একদিকে বৃষ্টি আশংকা অন্যদিকে পাকা ধানে পোকার আক্রমণে আমি জমিতে পাকা ধান নিয়ে বেকায়দায় ছিলাম। হলদিয়ার চেয়ারম্যান ইমরুল কয়েস আজ আমার পাকা ধান গুলো কেটে ঘরে তুলে দিয়ে চিন্তামুক্ত করলো”

এ সময় উখিয়া উপজেলা যুব নেতা ও হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে আমাদেরকে কৃষকের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ।

আমরা উখিয়া উপজেলা যুবলীগ বীরমুক্তিযোদ্ধা মফিজ আহম্মদ এর পাকা ধান নিয়ে সমস্যার কথা জানতে পাই। তীব্র রোদের মাঝেও আজকে উখিয়া উপজেলা যুবলীগের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মীরা মাঠে ধান কেটেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধার পাকা ধান নষ্ট হওয়ার আগেই তাঁর ঘরে এনে দিতে পেরে আজকে আমাদের খুবই ভালো লাগছে।

আরও খবর