গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •
টেকনাফে কিছুতেই থামছেনা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের অপহরন বাণিজ্য।
সন্ত্রাসী গোষ্টীর একের পর এক অপহরনের ঘটনা কেন্দ্র করে ভয় আর আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে উক্ত উপজেলার জনগণ।
এদিকে গত ১৫ এপ্রিল ভোরে টেকনাফ হ্নীলা ইউপির সাবেক মেম্বার পুত্র কিশোর ফয়সাল মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করে বাড়িতে ফেরত আসার সময় উৎ পেতে থাকা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী চক্রের সদস্যরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা ফয়সালকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও ছেলের সন্ধান পায়নি।
একদিন গত হওয়ার পর সন্ত্রাসী গোষ্টি ফয়সালের পরিবারের কাছে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবী করে। পাশাপাশি ফয়সালের মাথায় ও বুকে বন্দুক তাক করা, বুকে পা, গলায় লম্বা কিরিচ চোখে গামছা বাঁধা অবস্থায় কিছু ছবি ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে পাঠায়। ছবি গুলোর চিত্র দেখে বুঝা যায় সন্ত্রাসীরা যেন এক্ষুণি গলায় কিরিচ চালিয়ে এবং বন্দুকের ট্রিগার চেপে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেবে ফয়সালকে। মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ আদায় করার প্রক্রিয়া শুরু করে।
অবশেষে দীর্ঘ ৫ দিন পর ১০ লাখ আদায় করে কক্সবাজার সিটি কলেজ শিক্ষার্থী আল-ফায়সালকে মুক্তি দেয়। বাড়িতে ফেরত আসার পর দেখা যায় তাকে শারীরিক-মানষিক নির্যাতন চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফায়সালের পিতা হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার সামশুল আলম বাবুল গণমাধ্যম কর্মিদের জানান, গহীন পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও স্থানীয় দুষ্কৃতকারী উভয় মিলে চালিয়ে যাচ্ছে অপহরণের মত ন্যাক্কার জনক ঘটনা। তার ছেলেকেও স্থানীয় সন্ত্রাসী চক্রের সদস্যরা সহযোগীতা করে এই অপরাধটি সংঘটিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, জমি বিক্রি করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তার কলেজ পড়ুয়া পুত্র ফায়সালকে অপহরণকারীদের কবল থেকে ফিরিয়ে এনেছে। এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা রুজু করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, এখনো অভিযোগ পাইনি অভিযোগটি হাতে পেলে উক্ত অপরাধে জড়িত সন্ত্রাসীদের তদন্তপূর্বক চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-