ইমরান আল মাহমুদ, কক্সবাজার জার্নাল •
উখিয়ায় বনবিভাগের জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপন করা হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে দেখা মিলে প্রায়ই সবকটি স্থানীয়দের বসতিতে মিটারসহ বিদ্যুৎ সংযোগ।
লম্বাশিয়া ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বসবাসরত স্থানীয়রা জানায়,একটি মিটারের জন্য ২০ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। কয়েক মাস পরপর অতর্কিত অবস্থায় এসে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় পল্লী বিদ্যুৎ। এভাবে নোটিশ ছাড়া এসে লাইন বিচ্ছিন্ন করার ফলে আমরা অসহনীয় দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছি।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বলেন,”সংরক্ষিত বনভূমিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া আইনগতভাবে নিষিদ্ধ।”
মঙ্গলবার(১১ এপ্রিল) সকালে কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কার্যক্রম শুরু করে বনবিভাগ। উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সহযোগিতায় ২৩ টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার ও সার্ভিস তার জব্দ করে নিয়ে আসা হয়।
রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন,”আইন না মেনে যেসব সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে সেগুলো বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সহযোগিতায় লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ২৩টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।”
উখিয়া উপজেলার সংরক্ষিত বনভূমিতে অসংখ্য অবৈধ সংযোগ রয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের রহস্যজনক ভূমিকার কারণে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ থাকার পরেও মিটার স্থাপন করা অবস্থায় দেখা যায়।
একদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প,অন্যদিকে ঘন বসতি ও সংরক্ষিত বনভূমিতে যত্রতত্র বিদ্যুৎ সংযোগে দূর্ঘটনার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায়না। তাই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয়রা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-