নিজস্ব প্রতিবেদক •
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে চোরাইপন্য পাচারে একের পর এক সিন্ডিকেট সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে। কেউ মায়ানমারের গরু পাচারে সক্রিয় কেউ বিদেশী সিগারেট কিংবা নিষিদ্ধ চোরাইপন্য পাচারে সক্রিয়।
তারই ধারাবাহিকতায় কুতুপালং এলাকার প্রবীন বড়ুয়ার ছেলে সুশিল বড়ুয়ার(৪৫)’র নেতৃত্বে ঘুমধুমে সক্রিয় হয়েছে নতুন এক সিন্ডিকেট ।
এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবৈধ ব্যবসা ও মায়ানমারের নিষিদ্ধ পন্যসহ মাদক পাচারের অভিযোগ তুলেছে বাইশপারির স্থানীয় বাসিন্দারা । শুধু তাই নই তার বিরুদ্ধে রয়েছে বাইশপারির সীমান্ত দিয়ে মায়ানমার থেকে গরু পাচার ও অসংখ্য নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগও।
তার এই সিন্ডিকেটের হর্তাকর্তারা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থাকলেও তুমব্রু বাইশপাড়ি এলাকার সমশু আলমসহ বিভিন্ন এলাকার প্রভাবশালীর বেশ কয়েকজনের তথ্য উঠে এসেছে।
গেল কয়েকদিন আগেও এই সিন্ডিকেট রাতের আধারে মায়ানমার থেকে চোরাই পথ ব্যবহার করে নিয়ে আসছে অবৈধ গরুর চালান। এই গরুর বৈধতা দিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মোটা অংকের টাকায় প্রত্যয়ন ও দিচ্ছে বলে প্রশাসনের একাদিক সুত্রে জানা গেচে। এমন কি এই সুশীল বড়ুয়া মায়ানমারে আসা যাওয়ার ঘটনাও বেশ রহস্যজনক।
এসব অবৈধ গরু আমদানিতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশীয় খামারীরা।
এই সুশীল বড়ুয়া ও তার সিন্ডিকেটের গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি জরুরি হয়ে পড়েছে। গোয়েন্দা নজরদারিতে বেরিয়ে আসতে পারে তার এই এসব অবৈধ কালোবাজারির তথ্য। এমন মন্তব্য করেন বাইশপারির স্থানীয়রা।
সুশিল বড়ুয়া উখিয়ার হলেও ঘুমধুমে রয়েছে তার নামে-বেনামে অত্যাধিক সম্পদ। বাইশপাড়ি এলাকায় রয়েছে সুশিল মার্কেট। তার এত সম্পদের পিছনে আইয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সচেতনমহল। বিগত কয়েক বছর আগেও তিনি ছিলেন সামান্য টিউবওয়েল মিস্ত্রি। অল্পদিনে এত সম্পদের মালিক বনে যাওয়া এই সুশিলের নৈপথ্যে কি রয়েছে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মাঝে।
এদিকে সুশীল বড়ুয়া এসব কর্মকান্ডের কথা অস্বীকার করে প্রতিবেদককে বলেন, আমি এসব অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িত নেই। অনেকেই আমার নাম ব্যবহার করে সীমান্ত দিয়ে এসব অবৈধ চোরাইপন্যের ব্যবসা করে যাচ্ছে। কেউ যদি আমার নাম ব্যবহার করে গরু পাচার ও অন্যান্য খারাপ কর্মকান্ড করে থাকে তাহলে আমার দুষ কি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সুশিল বড়ুয়া ঘুমধুমের কেও নয়, তবে ঘুমধুম সীমান্তে এসে এসব অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িত থাকার খবর স্থানীয়দের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছি। তার বিষয়ে আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি। আশাকরছি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। এ বিষয়ে সরাসরি আমি বিজিবিকেও জানিয়েছি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-