সৈকতে ফটোগ্রাফারদের পর্যটক হয়রানী রোধে জেলা প্রশাসনের নতুন উদ্যোগ

এম.এ আজিজ রাসেল :

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ফটোগ্রাফারদের হাতে প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার হতে হয় পর্যটকসহ স্থানীয়দের। না বলা শর্তেও একাধিক ছবি তুলে জোর করে টাকা আদায় করা তাদের নিত্তনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। আর তাদের টাকা দিতে অস্বীকার করলে পর্যটক ও স্থানীয়দের ওপর চড়াও হয়। ঘটে বাকবিত-তা থেকে মারামারিও। তাতে সুনাম ক্ষুন্ন হয় জেলা প্রশাসনসহ কক্সবাজারের।

তাই এবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভ্রাম্যমাণ ফটোগ্রাফারদের শৃঙ্খলা ও অনুশাসনের অধীনে আনতে ও তাদের দ্বারা পর্যটক হয়রানি নিরসনে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। গৃহীত উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে ফটোগ্রাফারদের হাতে হয়রানী শিকার হলে পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করা। এ জন্য চালু রয়েছে ০১৭৩৩৩৭৩১২৭ মোবাইল নাম্বার। অভিযোগকালীন শুধু ফটোগ্রাফারের টি-শার্টে উল্লেখিত নম্বরটি বললেই অভিযুক্ত শনাক্ত করা হবে। অনুমোদিত সকল ফটোগ্রাফারের জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে। বাধ্যতামূলক পরিধান করতে নির্ধারিত ইউনিফর্ম। আইডি কার্ড ও ইউনিফর্মে তাদের পরিচিতি নম্বর স্পষ্টভাবে লেখা থাকবে। পাশাপাশি দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের ফোন নম্বরও থাকবে।
এছাড়া ফটোগ্রাফারদেরও নানা শর্তবলী দেয়া হয়। শর্তবলীর মধ্যে রয়েছে সৈকতে পর্যটকদের সাথে অশোভন আচরণ করা যাবে না। ছবি উঠাতে হবে নির্ধারিত মূল্যে। পরিচয়পত্র কাউকে দেয়া যাবে না। প্রতি বছর এটি নবায়ন করতে হবে। নির্দিষ্ট এলাকা ব্যতীত ঘুরা যাবে না যত্রতত্র। পর্যটকদের চাহিদা মোতাবেক ছবি প্রদান ও জোর করে অধিক ছবি তেলা যাবে না। সৈকতে সবসময় ঝুলিয়ে রাখতে হবে পরিচয়পত্র। এসব শর্ত না মানলে বিনা নোটিশে পরিচয়পত্র বাতিল করার কথা জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আশরাফুল আফসার বলেন, সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারবাসীর অমূল্য সম্পদ। এই সম্পদের সুনাম বিশ্বময়। তাই কারো দ্বারা যেন বিশ্বের দীর্ঘতম এই সৈকতসহ কক্সবাজারের সুনাম ক্ষুন্ন না হয়। সৈকতে ফটোগ্রাফারদের বিরুদ্ধে অহরহ অভিযোগ ছিল। তাই তাদের মাধ্যমে যেন স্থানীয় ও পর্যটকরা আর হয়রানীর শিকার না হয় সেজন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য্য ও শৃঙ্খলা রক্ষায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।