রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ২ হাজার ২০০টি পশু কোরবানি

আব্দুল কুদ্দুস রানা, প্রথম আলো ◑

কয়েক বছর আগেও মিয়ানমারে নিজের বাড়িতে গরু বা ছাগল দিয়ে কোরবানি দিতেন তাঁরা।

কিন্তু ওই দেশে নির্যাতনের শিকার হয়ে এখন আছেন কক্সবাজারে আশ্রয়শিবিরে। আছেন বিদেশে। হাতে টাকা নেই। তাই গরু কিনে কোরবানিও করতে পারেননি।

তবে বিভিন্ন এনজিওর পক্ষ থেকে তাঁদের কোরবানির মাংস দেওয়া হয়েছে। কোরবানির মাংস পেয়ে তাঁদের মুখে হাসি ফুটেছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আশ্রয় শিবিরের ধনী রোহিঙ্গারা টেকনাফ ও উখিয়ার হাটবাজার থেকে পছন্দ মতো কোরবানি দেওয়ার জন্য কিনেছেন গরু-মহিষ।

অন্যদিকে বিভিন্ন এনজিও শরণার্থীদের জন্য ২ হাজার ২০০টি কোরবানির পশু দিয়েছে। পশুগুলো শিবিরে জবাই করে প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি করে মাংস দেওয়া হয়েছে।

উখিয়ার কুতুপালং শিবিরের শরণার্থী দিল মেহের বেগম (৪৫) বলেন, গত বছর তিনি পেয়েছিলেন ৫ কেজি মাংস। এবার পেয়েছেন ১০ কেজি। মেহের বেগমের সংসারে দুই মেয়ে ও তিন ছেলে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুলি করে তাঁর স্বামীকে হত্যা করে। সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনের মুখে সন্তানদের নিয়ে তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।

বালুখালী শিবিরের শরণার্থী আলা উদ্দিন (৪০) বলেন, রাখাইন রাজ্যে তিনি একটি গরু কিনে কোরবানি দিতেন। আশ্রয়শিবিরে পালিয়ে আসার পর গত তিন বছরে আর কোরবানি দেওয়া হয়নি।

এনজিও সংস্থার দেওয়া কোরবানির গবাদিপশুর মাংস দিয়ে ঈদ উদযাপন করছেন।