রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে উখিয়ায় এনজিও নারী কর্মীদের অবাধ বিচরণ বন্ধের দাবী

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া :

মোটরবাইকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নারী ও শিশু

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও কর্মীরা মোটরসাইকেলে চলাচল করছেন। কাজ শেষে মোটরবাইকে মেয়ে বান্ধবী নিয়ে যাচ্ছেন কক্সবাজারে।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা ক্যাম্পে কর্মরত মেয়েরা উখিয়ায় বিভিন্ন ভাড়াবাসায় অবস্থান করলেও নানা অজুহাতে ছেলে বন্ধুদের সাথে বাইকের পেছনে বসে চলে যায় কক্সবাজারে।

আবার কেউ কেউ সিএনজি রিজার্ভ ভাড়া করে চলে যাচ্ছেন ইনানী, টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে। ছেলে-মেয়ের অবাধ মেলামেশা ও বিচরণ স্থানীয়দের ভাবিয়ে তোলেছে। আসছে রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষার্থে রাস্তা-ঘাটে অবাধ মেলা-মেশার প্রতি সতর্ক দৃষ্টি দেয়া দরকার বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

ক্যাম্পে চাকরির সুবাদে দু-এক দিনের পরিচয়ে নানা রকম অবৈধ সম্পর্কে জড়াচ্ছেন তারা। এরই মধ্যে ক্যাম্পে যাওয়া-আসার পথে মেরিন ড্রাইভ সড়কে মেয়ে বান্ধবীসহ বেশ কয়েকজন এনজিও কর্মী নিহত হয়েছেন।

এছাড়া সাধারণ বাইকেও যাতায়াত করছেন অনেক নারী। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে নারীদের এভাবে মোটরবাইকে চলাচল কতোটা নিরাপদ।

স্থানীয় সুশিল সমাজ বলছেন, নারীদের গণপরিবহনে একা চলাচল করা এমনিতে নানা কারণে অনিরাপদ।

মোটরবাইকে চলাচলটা আরও অনিরাপদ। রোহিঙ্গা আসার পর থেকে উথিয়া-টেকনাফ শহিদ এটিএম জাফর আলম আরাকান সড়ক ও কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে দুর্ঘটনা বেড়েছে। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে ভারি যানবাহন চলাচল করছে। দুরপাল্লার চালকদের অনেকেই এই সড়ক সম্পর্কে যথেষ্ট পরিচিত নয়। দুর্ঘটনার পেছনে অতিরিক্ত গতি ও চালকের বেপরোয়া মনোভাব দায়ী।

সুজনের উখিয়া উপজেলা সভাপতি সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, এখানে সামাজিক নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখিন। এনজিও নারী-পুরুষের যে অবাধ মেলামেশা হচ্ছে বিশেষ করে মেয়েদের মোটরবাইকে করে চলাচল আমাদের সমাজ এটাকে ওভাবে সমর্থন করে না। পাশাপাশি রোড সেফটিরও একটি বিষয় থেকে যায়। আমরা সম্প্রতি যে ঘটনাগুলো দেখছি তারই প্রেক্ষিতে বলতে চাই, এনজিও কর্মীদের অবাধ মেলামেশা ও চলাচলে অবশ্যই মনিটরিং এর মধ্যে আনতে হবে।

অনেকে আছেন যারা নারী-শিশুদের নিয়ে অতি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় মোটরসাইকেলে চলাচল করেন। মোটর সাইকেলে চড়ে নারী-শিশুর যাতায়াতের ব্যবস্থা এটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এটা কোন নিরাপদ বাহন হতে পারে না। আমি মনে করি মোটরসাইকেলে নারী ও শিশুর যাতায়াতের নিরাপত্তাতো নেইই। পাশাপাশি ছেলেদের জন্যও এটা ঝুঁকিপূর্ণ এবং এই কারণে তাদের দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেশি।