মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে মারধর করেছে জামায়াত নেতা, বিনা অপরাধে সন্তানকে আটক

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুস শুক্কুরের স্ত্রী সেতারা বেগম।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার সদর উপজেলার গোমাতলী মোহাজের উপনিবেশ সমিতির সদস্যদের জিম্মি করে সমিতির সভাপতি সেলিম উদ্দিন,সম্পাদক মোসলেম উদ্দিনসহ কয়েকজন সদস্যের দূনীতির বিরুদ্ধে সংশ্লীষ্ট কতৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ দেয়ায় সমিতির সদস্য সাজ্জাদুল করিমকে মারধর করেছে সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের আশ্রয়ে থাকা সন্ত্রাসী জামায়াত নেতা আবু শামাসহ তার সহযোগীরা।

এসময় মুহূর্ষু অবস্থায় সাজ্জাদকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও আরেক দফা হামলা চালায় আবু শামা বাহিনী।

হামলায় সাজ্জাদুল কমিমের মা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শুক্করের স্ত্রী সেতারা বেগমও গুরুতর আহত হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এবং চোখে মারাত্মক জখম হয়। পরে পুলিশ ডেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নীরহ সাজ্জাদুল করিমকে পুলিশে দিয়েছে জামায়াত নেতা আবু শামা।

সোমবার শহরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুস শুক্কুরের স্ত্রী সেতারা বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে সেতারা বেগম জানান, ২০১৭ সালে সমিতির ৩৪ লক্ষ টাকা সদস্যদের মধ্যে বন্টন না করে আত্মসাৎ করেছিলেন ব্যবস্থাপনা কমিটির ৬ জন সদস্য। এসব কিছুর ইন্দন দাতা হিসেবে ছিলেন সমিতির সভাপতি সেলিম উদ্দিন,সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন।

সম্প্রতি উপজেলা সমবায় অফিসারের তদন্ত প্রতিবেদনে টাকা আত্মসাতের প্রমান পাওয়া যায়। তদন্ত প্রতিবেদন সমিতির সংশ্লীষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সেতারা বেগম আরো জানান, গেল ২৫ মার্চ কক্সবাজার প্রেসক্লাবে গোমাতলী মোহাজের উপনিবেশ সমিতির সভাপতি সেলিম উদ্দিন,সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন এর দূনীতির বিরুদ্ধে এবং আবু শামা কর্তৃক প্রাননাশের হুমকির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সমিতির সদস্য সাজ্জাদুল করিম।

সংবাদ সম্মেলনের পর থেকে জামায়াত নেতা আবু শামা প্রতিনিয়তই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। সাংবাদিক সম্মেলন করায় তারা আরো ক্ষীপ্ত হয়ে সাজ্জাদুল করিম এবং তার মাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। বর্তমানে সাজ্জাদ বিনা অপরাধে কারন্তরীন আছেন। একমাত্র পুত্র না থাকায় বিধবা সেতারা বেগম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার আমলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হয়ে তারা অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, একজন জামায়াত নেতার এত ক্ষমতার উৎস কোথায়? জামায়াতর নেতার হুমকিতে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার অসহায় দিনযাপন করছে। এটি জাতির জন্য লজ্জা বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি জানান, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তারা উপেক্ষিত। অদৃশ্য ক্ষমতার কারনে প্রতিদিন জামায়াত নেতা আবু শামা এবং তার সহযোগীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। যে কোন সময় তাদের পরিবারকে জানে মেরে ফেলা হতে পারে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করছেন।