ভারুয়াখালীতে লকডাউন মানছে না করোনা শনাক্তের পরিবার: আতংকে এলাকাবাসী

সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল ◑
কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালীতে করোনা আক্রান্ত রোগীর পরিবারকে লকডাউন করা হলেও তা মানছে না লকডাউনকৃত বাড়ির লোকজন।

এলাকাবাসীর দাবি, দায়সাড়াভাবে ওই পরিবারকে লকডাউন করায় ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে এলাকার মানুষকে। পরিবারের লোকজন লকডাউন না মেনে অবাধে বিচরণ করছে। ফলে আতঙ্কে রয়েছে পুরো ভারুয়াখালীর জনগণ।

এছাড়াও ওই পরিবারের লোকজন লকডাউন মানছে না বিধায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা।

গত ৭ মে (বৃহস্পতিবার) কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ভারুয়াখালীর দক্ষিণ করিম সিকদার পাড়ার বাসিন্দা প্রবাসী রুহুল আমিন রুবেল এর স্ত্রী নারায়নগঞ্জ থেকে আসা আমেনা খাতুন প্রকাশ উমেদার করোনার স্যাম্পল টেস্টে করা হয়।

রিপোর্টে তার শরীরে কোভিট-১৯ এর অস্তিত্ব পাওয়া গেলে একইদিন রাত ৯ টার দিকে ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দীন নেতৃত্বে ওই বাড়িটি লকডাউন করে দেন। টাঙানো হয়েছিল লাল পতাকা। কিন্তু এখন কিছুই মানছে না ওই পরিবারের লোকজন।

শুক্রবার (৮ মে ) সকালের দিকে সরেজমিনে করোনা আক্রান্ত রোগীর এলাকায় গিয়ে লকডাউনকৃত বাড়ির লোকজনকে অবাধে বিচরণ করতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দীন বলেন, আমেনা খাতুন প্রকাশ উমেদার শরীরে কোভিট-১৯ ধরা পড়ার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই তার শ্বাশুর বাড়ি লকডাউন করা হয়। কিন্তু ওই পরিবারের লোকজন সম্পূর্ণ লকডাউন মানছে না। তাই এলাকায় মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এবিষেয় ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান সিকদার জানান, ভারুয়াখালী ইউনিয়নের করিম সিকদার পাড়ার রুহুল আমিন রুবেল ব্যবসায়ি কাজে প্রায় সময় ঢাকা নারায়নগঞ্জ আসা যাওয়া করতো। সেখানে পরিচয় সূত্রে নারায়নগঞ্জের মেয়ে আমেনা খাতুন প্রকান উমেদা কে ভালবেসে বিয়ে করে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ৩ দিন আগে একটি মালবাহী গাড়ী করে ভারুয়াখালীতে রুবেলের বাড়িতে আনে। পরে আমরা খবর পাওয়া মাত্রই নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠায়। আমার জানা মতে উমেদা মাত্র কয়েক ঘন্টা ভারুয়াখালী তার শশুর বাড়িতে ছিল।

পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করালে তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। আমার জানা মতে আমেনা খাতুন প্রকাশ উমেদাকে রামু আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামী রুবেলকেও পরীক্ষা করানো হচ্ছে। এছাড়া ভারুযাখালীর বাড়ি লকডাউন করা হয়। তারপরেও এলাকার মানুষ আতঙ্ক ও চিন্তিত হয়ে পড়েছে।

পরিবারের লোকজন লকডাউন মানছে না এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কেন মানবেনা যদিও না মানে প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত আমরা।