ভারুয়াখালীতে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ; চরম দূর্ভোগে পথচারীরা

সাইফুল ইসলাম, কক্সবাজার জার্না

দীর্ঘদিনের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে পথচারীরা। এতে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। এমনকি যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকাও রয়েছে। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ভারুয়াখালীর কয়েকজন সচেতন নাগরিক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক ওয়ালে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়াল দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এর কারণে একটি দ্বীনি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বদ্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী ইউনিয়নের চাঁন্দুর পাড়া এলাকায়।

এ সমস্যা নিয়ে ভারুয়াখালী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ওসমান সরওয়ার তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লিখেন, অনেক দিন যাবৎ ভারুয়াখালী, ইউনিয়নের চাঁন্দুর পাড়ায় চলাচলের পথ নিয়ে সমস্যা। উক্ত পাড়ার যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমাকে হঠাৎ অবগত করেন। আমি সরাসরি কয়েক জন যুবলীগের নেতা-কর্মী নিয়ে সেখানে যায়। আমি দেখলাম একটি দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এটা সমাজবিরোধী কাজ, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির কিছু লোক আমি প্রশাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বলবো। ওই এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন যে সমস্যায় ভুগছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক সহযোগিতার মাধ্যমে আপনারা সমাধান করবেন। এ নিয়ে যে কোন মূহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী।

বিশ^স্থ সুত্রে জানা যায়, ২৬ এপ্রিল ভারুয়াখালী চাঁন্দুর পাড়ার বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ ইদ্রিস এর পুত্র আবু মুসলেম দেয়াল দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছে। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই রাস্তা দিয়ে প্রায় ৫০টি মতো বাড়ির লোকজন তাদের বাপ-দাদার আমল থেকে চলাচল করে আসছিল, সকালে এলাকার লোকজন নামাজ পড়তে যাওয়ার জন্য বের হলে দেখতে পায় তাদের দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তাটি দেয়াল দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরে এলাকাবাসী আবু মুসলেমের কাছ থেকে রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি ও তার বাহিনী উল্টো এলাকাবাসীর ওপর চড়াও হয়। স্থানীয়রা নিরুপায় হয়ে ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্যালেন চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান আবুল কাসেমকে ঘটনা জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা সাবেক মেম্বার ছৈয়দ আলম, কলিম উল্লাহ ও আমান উল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় ভোক্তভোগী পরিবারের সদস্য, স্কুল-মাদ্রাসা, কলেজগামী শিক্ষার্থী ও পথচারীরা দু’দিন যাবৎ দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন। এমনকি ভোক্তভোগী পরিবারগুলো তার কাছে গিয়ে বিভিন্ন ভাবে ধর্ণা দেয়ার পরও সে তার নিজের জায়গা দাবি করে দেয়াল নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। রাস্তাটি দীর্ঘদিনের চলাচলের জন্য উম্মুক্ত থাকলেও বর্তমানে তার প্রয়োজন হওয়ায় সে দেয়াল দিয়ে তা বন্ধ করে দিয়েছে। এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এ সমস্যা সমাধানের নিমিত্তে স্মারক লিপিও দেবেন বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

একইভাবে এই সমস্যা নিয়ে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী তামজিদ পাশা তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, দীর্ঘদিনের এই চলাচলের পথে ইটের দেওয়াল দিয়ে আটকে দেওয়ায় কঠিন সমস্যায় পড়েছে এলাকাবাসী। যেই রাস্তা দিয়ে ৫০ পরিবার কয়েক যুগ ধরে যাতায়াত করে আসছে। স্কুল,মাদ্রাসা, মসজিদ, ও বাজারে যেতে আজ সাধারন মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। সদর-রামু আসনের অভিভাবক সাইমুম সরওয়ার কমল ভাইয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সেই সাথে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম মাহফুজুর রহমান ও এসিল্যান্ড কক্সবাজার সদরের প্রতি এর প্রতি সুদিষ্টি কামনা করছি। পাশাপাশি ভারুয়াখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগকে বুঝে শুনে শক্ত হাতে ঐ সমস্যা সোকাবেলা করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হল।