ভারুয়াখালীতে দোকানে হামলা, ভাঙচুর, মালামাল ও টাকা লুট

নিজস্ব প্রতিবেদক ◑
কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালীতে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা মুদির দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, মালামাল ও টাকা লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ মে (বুধবার) রাত ১১ টার দিকে সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের বড় চৌধুরীপাড়াস্থ মোরাপাড়া এলাকায়।

এ বিষয়ে ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মহিলা মেম্বার নামিয়া অাকতার বাদি হয়ে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, হামলাকারীরা এলাকার অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির লোক। তারা এলাকার অাইন কানুন কিছুই মানে না। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে খুনসহ বিভিন্ন ফৌজদারী অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।

গত ২৭ মে মুরগি চুরির কথা নিয়ে অভিযুক্তকারীর সাথে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কিছু কথা কাটাকাটি হয়। ওই কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে একইদিন রাত ১১ টার দিকে ওবাদুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ১০/১৫ জনের একটি সশস্ত্র নামিয়া অাকতারের মুদির দোকানে গিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে দোকান থাকা অভিযুক্তের ছেলে আনোয়ার জোসেফকে দোকান থেকে বের করে দিয়ে দোকানে থাকা নগদ টাকা, সিগারেটসহ বিভিন্ন ধরনের মুল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় পরের দিন ২৮ মে সকালের দিকে ওই সন্ত্রাসী ও হামলাকারীরা অভিযুক্তকারীর বসতভিটার প্রায় ২০০ টির মতো বিভিন্ন প্রজাতির চারাগাছ কেটে ফেলে।

অভিযুক্ত হামলাকারী ও সন্ত্রাসীরা হলেন, একই এলাকার ওবাদুল হক ভূঁইয়ার ছেলে ওয়ালিদ বিন রহমান, মৃত সিরাজুল হক ভূঁইয়ার ছেলে মো. ফরহাদ ভূঁইয়া, মৃত অাবুল কাশেম ভূঁইয়ার ছেলে মো. রাসেল গাজী, মৃত তৌফায়েল অাহম্মদ ভূঁইয়ার ছেলে ওবাদুল হক ভূঁইয়া, তার ছেলে কায়সার ভূঁইয়া, মৃত সিরাজুল হক ভূঁইয়ার ছেলে তুষার ভূঁইয়া হ্নদয়, ছৈয়দ অাকবরের ছেলে মো. ইমন, ওবাদুল হক ভূঁইয়ার ছেলে মো. সায়েম ও তারেক মিয়া।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. খায়রুজ্জামান জানান, ঘটনার বিষয় নিয়ে থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়। বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।