টেকনাফ সীমান্তে বন্দুকযুদ্ধে ‘মাদক কারবারী’ নিহত

  • ২ লক্ষ ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল ◑ 
টেকনাফে নাফনদীর কিনারায় বিজিবির সাথে গোলাগুলির ঘটনায় এক রোহিঙ্গা মাদক কারবারী নিহত।

উক্ত ঘটনায় তিন বিজিবি সদস্য আহত। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র,গুলি ও বিশাল এক ইয়াবার চালান।

বিজিবির তথ্য সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের মাধ্যমে বিজিবি জানতে পারে হ্নীলা ইউনিয়ন জাদীমুড়া নাফনদী সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমার হতে একটি বড় ইয়াবার চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। সেই তথ্য অনুযায়ী,দিবাগত গভীর রাতে দমদমিয়া বিওপিতে কর্মরত বিজিবির একটি টহল দল উক্ত এলাকায় অবস্থান নেয়।

এরপর মিয়ানমার ১৯ জানুয়ারি গভীর রাত দেড়টার দিকে মিয়ানমার (লালদ্বীপ) হয়ে একটি নৌকা যোগে মাদক পাচারে জড়িত বেশ কয়েক জন অপরাধী নাফনদী জাদিমুড়া শেকলঘেড়া সীমানা অতিক্রম করার সময় বিজিবি তাদের চ্যালেন্জ করলে নৌকাতে থাকা মাদক পাচারকারী বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ী গুলি বর্ষণ শুরু করে। এতে বিজিবির ৩ সদস্য আহত হয়। এরপর আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে নৌকায় থাকা ৩/৪ জন মাদক পাচারকারী সু-কৌশলে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়।

গোলাগুলি থেমে যাওয়ার কিছুক্ষন পর ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহত যুবক হচ্ছে, উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প বল্ক-ডি/৪ শরনার্থী শিবির(২) এর বাসিন্দা মোঃ জামাল হোসেনের পুত্র মোঃ আইয়াছ(২৫)।

এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল ফয়সাল হাসান খাঁন কক্সবাজার জার্নালকে জানান, হ্নীলা জাদিমুড়া নাফনদী শেকলঘেড়া সীমান্তে মাদক কারবারীদের সাথে গোলাগুলির ঘটনায় এক রোহিঙ্গা মাদক পাচারকারী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল তল্লাশী করে দেশীয় তৈরী ১টি অস্ত্র,১টি কার্তুজ,১টি গুলির খালীখোসা, এবং ৬ কোটি,৬০ লাখ টাকা মুল্যমানের ২ লক্ষ,২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে বিজিবি।

তিনি আরো বলেন, মাদক পাচার প্রতিরোধে সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি মাদক পাচারে যারা এখনো জড়িত সেই সমস্ত অপরাধীদের নির্মুল করার জন্য মাদক বিরোধী চলমান এই যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।