চকরিয়ায় চাঞ্চল্যকর চম্পা হত্যার প্রধান আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত

শাহীন মাহমুদ রাসেল ◑

কক্সবাজারের চকরিয়ায় চলন্তগাড়িতে যুবতীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসাইন (৩০) পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত।

সোমবার (১১ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চকরিয়া উপজেলার মরংঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাজ্জাদ পেকুয়া উপজেলা সদরের শেখেরকিল্লা ঘোনা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিএনজি অটোরিকশা যাত্রী চম্পাকে গত ৬ মে রাতে ধর্ষণ পরবর্তী খুন করা হয়৷ তাঁর মরদেহ চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের মরংঘোনা এলাকার আঞ্চলিক মহাসড়কের উপরে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।

পরে চকরিয়া থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। এরপর দিন নিহত যুবতীর বাবা রুহুল আমিন আপন বোন, ভগ্নিপতি, ভাগ্নেসহ চারজনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে ঘটনাটি নিয়ে অনুসন্ধানে নামে র‍্যাব। এ ঘটনায় জড়িত অটোরিকশা চালক জয়নাল আবেদীন (১৮) কে আটক করে তাঁরা। জয়নাল পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা নন্দীরপাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

জয়নাল আবেদীনের স্বীকারোক্তি মতে র‍্যাব জানতে পারে, সাজ্জাদ নামে অপর একজন অটোরিকশা চালক এ ঘটনায় জড়িত। তাঁরা দুই সিএনজি চালকই যুবতী চম্পাকে পেকুয়া থেকে চকরিয়ায় আনার সময় আঞ্চলিক মহাসড়কের নির্জন স্থানে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে।

এর পর সিএনজিতে তুলে চলন্ত অবস্থায় বিপরীত দিক থেকে আসার অপর একটি গাড়ির সামনে ছুঁড়ে মারে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় চম্পা। র‌্যাব অভিযুক্ত সাজ্জাদকে ধরতে বেশ কয়েকবার তার বাড়িতে অভিযান চালায়। কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।

সর্বশেষ সোমবার সকালে র‌্যাবের একটি দল সাজ্জাদের চাচাতো ভাই প্রতিবন্ধী নেজাম উদ্দিন ও আবদু রহিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। তারপর থেকে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী সাজ্জাদকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে একইদিন সকাল ১০টার দিকে শেখের কিল্লা ঘোনার একটি বাড়ি থেকে স্থানীরা সাজ্জাদকে আটক করে পেকুয়া থানা পুলিশকে সোপর্দ করে।

বন্দুকযুদ্ধের সত্যতা নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, সাজ্জাদকে আটক করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করে পেকুয়া থানা পুলিশ। একইদিন রাতে আটক সাজ্জাদ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধান দেবে বলে পুলিশকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়৷

সেখানে পৌঁছামাত্র তাঁর সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে৷ এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে হামলাকারীরা পিছু হটে৷ পরে ঘটনাস্থল থেকে সাজ্জাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।