চকরিয়ায় ক্ষমতার ছত্রছায়ায় আছে একাধিক পাপিয়াদের মত নারী

রাজু দাশ, চকরিয়া ◑
কক্সবাজার চকরিয়া ক্ষমতার ছত্রছায়ায়  স্রোতের সাথে তাল মিলিয়ে মাদক ও দেহ ব্যবসা নারী অপরাধীর সংখ্যা বাড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রীতি ঢাকায় র‌্যাবের অভিযানে নরসিংদী জেলা যুবমহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামিমা নূর পাপিয়াকে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে এবং আজীবনের জন্য সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাছাড়া  প্রতিদিনই দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে নারী গ্রেফতারের ঘটনা ঘটছে। শিশু ও মানব পাচার, জঙ্গি সংযোগ, চুরি, অপহরণ, যৌন আবেদনের মাধ্যমে প্রতারণা ইত্যাদি অপরাধে সক্রিয় নারীরা।

চকরিয়া পৌরশহরে এমন পাপিয়াদের মত অনেক নারী রয়েছে যারা বিভিন্ন অপরাধচক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছে। শহরে এসব ক্ষমতার ছত্রছায়ায় রয়েছে প্রায় কয়েক ডজন সুন্দরী মেয়ে এবং প্রতারনার ফাদে জড়নো গ্রামের সহজ সরল কিছু সুন্দরী নারী। লোভ ও স্বল্প সময়ের মধ্যে টাকার মালিক হওয়ার বিভোর স্বপ্নে এইসব অসামাজিক কার্যাকলায়ে লিপ্ত রয়েছে এরা। যদিও এর মধ্যে অনেকেরই স্বামী-সংসার নেই।

চকরিয়া পৌরশহরে আবাসিক হোটেল অবাধে যাতায়ত করে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। যা হোটেলগুলোর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই প্রমান পাওয়া যাবে।

প্রশাসনের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে তাদের ওঠা বসা। তারাই আড়ালে চলে অবৈধ নানান ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, অনৈতিক কার্যকলাপ তারা চালিয়ে যাচ্ছেন নির্ভয়ে। ছোটখাট কেউ তাদেরকে কিছু বলতেই সাহস পায়না।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায় , পৌর শহরে পাপিয়াদের মত লোভে পড়ে যেসব সুন্দরী  মেয়েরা সামাজিক ভাবে লাইনচুত্য হয়েছে তারা বর্তমানে দেহ ব্যবসার পাশাপাশি ইয়াবার ব্যবসা ও সেবন করে বাড়তি আয়-রোজগার করছে। এ চক্রটি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে একাধিকবার আটক হলেও আইনের ফাঁকে সুকৌশলে বের হয়ে আবার সরূপে কালো ধান্দায় নেমে পড়ে।

আর তাদের স্থানীয়ভাবে খুটিনাটি সমস্যায় জড়ায় তাহলে পুলিশ, সাংবাদিক, ব্যবাসয়ী, প্রভাবশালী নেতার সাথে সম্পর্কে আত্মীয়তা পরিচয় দিয়ে হুটহাট ঝামেলা থেকে রক্ষা করে নিজেদের।

অপরদিকে স্বামী বা আত্মীয় স্বজন নামক সাইবোর্ড লাগিয়ে দাবিয়ে দেহ ব্যবসা করে যাচ্ছে এই শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে কথিত স্বামী’র সাইনবোর্ড ঝুঁলিয়ে পতিতা ব্যবসা চালায়। মাসে একাধিকবার তারা বাসা পাল্টায়। এদের খপ্পরে পড়ে  ও আশপাশ এলাকার ধর্ণাঢ্য পুরুষরা সর্বশান্ত হওয়ার অভিযোগও রয়েছে। তবে লোক-লজ্জার ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলছেনা। এসব কারণে চকরিয়ায় নারী ব্যবসা, জুয়া, মাদকসহ নানা কালো ধান্দা চলছে ওপেন সিক্রেট। আর এতে বিপথগামী হচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান জানান, মাদক, জুয়া, নারী সিন্ডিকেট, দেহ ব্যবসা ও প্রতারকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং পাশাপাশি এ ধরনের অভিযান বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে।