চকরিয়ায় অপহরণকারী চক্রের মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার-৭

এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া ◑

কক্সবাজারের চকরিয়ায় অপহরণকারী চক্রের মূল হোতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে হামলা চালিয়ে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় অপহৃত ভিকটিম সোহেল ও হ্যা-কাপসহ ধৃত দুই আসামীকে। হামলায় এসআই ইসমাইল ও দুই কনষ্টেবল আহত হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিক্সাও।

পরে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে প্রায় তিনঘন্টা পর ছিনিয়ে নেওয়া ভিকটিম এবং দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারও পরে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সর্বমোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার পুলিশ বাদী হয়ে থানায় ৮০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করেছে। তন্মধ্যে নারী-পুরুষসহ এজাহারনামী আসামী করা হয় ২০ জনকে। সেখান থেকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাতজনকে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

চকরিয়া থানার এসআই ইসমাইল হোসেন জানান, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পশ্চিম কলাউজানের মো. সোহেল নামের (৩৫) এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর চকরিয়ার ডুলাহাজারার কাটাখালীর একটি বাড়িতে আটকে রাখে। এ সময় পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করা হয় তিন লাখ টাকা। বিষয়টি পুলিশকে জানালে গত রোববার বিকেলে তাকে উদ্ধার অভিযানে যায়। এ সময় ভিকটিকমকে উদ্ধার এবং দুই আসামীকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে। পরে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে ফের উদ্ধার করা হয় ভিকটিম। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় সাতজনকে।

পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় ডুলাহাজারার কাটাখালী গ্রামের জিয়াবুল করিমের ছেলে তানজিত আলম সোহেল, আবুল কাশেমের ছেলে আরাফাত, মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার শাহাব উদ্দিনের ছেলে মো. খোকন, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার পূর্ব কলাউজানের কবির আহমদের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাতকানিয়া উপজেলার চরতি ইউনিয়নের তালগাঁও গ্রামের নছরুল কবিরের ছেলে মো. মাঈন উদ্দিন, আবু তাহেরের ছেলে মোস্তফা আল মাসুম, কুড়িগ্রাম জেলার ভলিপুর থানার সাদুল্যাপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে সজিব মিয়া। তবে ওইসময় ধৃত তিন নারী ঘটনার সাথে জড়িত না থাকায় যাচাইয়ের পর তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।