খুনিয়াপালংয়ে কবর স্থানের জায়গা দখল!

নিজস্ব প্রতিবেদক ◑

কক্সবাজারের রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালিয়ায় প্রাচীন ঈদগাহ মাঠ ও কবরস্থানের জায়গা জবর দখল করেছে স্থানীয় কিছু ভূমিদস্যু।
এ ব্যাপারে কবর স্থানের মালিকরা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব গোয়ালিয়াপালং এলাকার মো. বেলাল সহ তাদের শরিকদের ও আশেপাশের মৃত ব্যাক্তিদের কবর হিসেবে দীর্ঘ দিন থেকে ব্যবহার করে আসছে এবং কবরস্থানের জায়গাটি এক সময় ঈদগাহ ময়দান হিসেবেও ব্যবহৃত হত। যেখানে বিভিন্ন এলাকার মানুষরা ঈদের নামাজ পড়তে জমায়েত হতো।

কিন্তু কবরস্থানের কিছু খালি জায়গায় প্রতি লোভে পড়ে স্থানীয় ভূমিদস্যু মৃত লাল মিয়ার পুত্র কবির আহমদ,মৃত আমির হামজার পুত্র সিরাজ মিয়া ও মোঃ শফি, সিরাজ মিয়ার পুত্র মোহাম্মেদুল হক, আবদুল হাকিমের পুত্র কামাল উদ্দিন, মৃত আজিম উল্লাহর পুত্র আলী আহমদ ও আব্দুল হামিদ, মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র ছৈয়দ আলম, মোঃ শফির পুত্র ফেরদৌস, আলী আহমেদের পুত্র এরশাদ উল্লাহ, আশরাফ আলীর পুত্র শামশুল আলম, মৃত ইয়াছিনের পুত্র এরশাদ উল্লাহসহ আরো কয়েকজন উক্ত খালি জায়গায় লোকজনের যাতায়াত কম থাকার সুযোগে জোরজবর দখল করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কলাকৌশলে রাতের আধারে মাটি কেটে ঘরবাড়ি নির্মাণ, গাছপালা সহ ঘেরা টেংরা দিয়ে দখল করে নিয়েছে।

সম্প্রতি কবরস্থান রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে ওই পাশে সীমানা দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে জায়গা দখলের বিষয়টি কবর স্থানের মালিকদের নজরে আসে। তখন কবরস্থানের ওই জায়গাতে সীমানা দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে বাধা দেয় স্থানীয় ভূমিদস্যুরা। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মোঃ বেলাল বলেন, তাদের কবরস্থানের দখলের বিষয়টি জানতে পেরে আমি ও স্থানীয় গ্রামবাসী কবরস্থান রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গত ২৯ মে সকাল ১০টার দিকে দখলীয় জায়গা উন্মুক্ত করে কবরস্থানের সীমানা নির্ধারণ করে পিলার বসিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ভূমিদস্যুরা রাতের আধারে পিলার গুলো তুলে ফেলে দেয় এবং পূণরায় দখল করে নেয়। তাদের এ অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তারা এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের মিথ্যা মামলাসহ মারার হুমকি প্রদান করে। তাদের হুমকিতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশায় স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবহিত করেছি এবং থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।