করোনাভাইরাসের উৎস সম্পর্কে চীনের মিথ্যাচার, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ফাঁস

বার্তা২৪ ◑

‘চীন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও উৎস সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলেছে’— ফাইভ আইস নামে এক গোয়েন্দা জোটের প্রতিবেদনে এমন তথ্য ফাঁস হয়েছে।

শনিবার (২ মে) নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রথমত চীন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে, এমনকি যিনি এ ভাইরাস নিয়ে সতর্ক করেছিলেন তিনি এখন অদৃশ্য হয়ে গেছেন কিংবা কোনো হদিস নেই বলেই জানায় এ প্রতিবেদন।

চীন মূলত চেয়েছিল পশ্চিমারা যেন একটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারে এজন্য ভাইরাসের নমুনা হস্তান্তর করতেও অস্বীকৃতি জানায়।

এই গোয়ান্দা জোটের করা ১৫ পৃষ্ঠার রিসার্চের নথিতে ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে, ভাইরাসটি উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি থেকেই ছড়িয়ে পড়ে। চীন প্রথম থেকেই এ দাবিটিকে ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করে।

অস্ট্রেলিয়ান ডেইলি টেলিগ্রাফ অনুযায়ী খবর প্রকাশ হয়— চীনা কর্মকর্তারা জোর দিয়েছিলেন যে ভাইরাসটি স্থানীয় ভেজা বাজার থেকে এসেছে।

একইসঙ্গে এক সিনিয়র গোয়েন্দা সূত্র ফক্স নিউজকে বলেছে, বেশিরভাগ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিশ্বাস করে কোভিড-১৯ উহান ল্যাব থেকে উদ্ভূত হয়েছিল, তবে সেটি দুর্ঘটনাক্রমে ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা করা হয়।

ফাইভ আইস হলো— আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং কানাডার সমন্বিত একটি গোয়েন্দা জোট।

চীন ভাইরাসটিকে হালকা ভাবে নিয়েছে যা ‘আন্তর্জাতিক স্বচ্ছতার উপর আক্রমণ’ বলা চলে। চীন ভেজা বন্য প্রাণীর বাজার, স্টলগুলোতে ব্লিচ প্রয়োগ করে ভাইরাসের সংক্রামক বাহকগুলোর নমুনার সমস্ত চিহ্ন মুছে দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেইজিং ভাইরাস সম্পর্কিত ইন্টারনেট সার্ফিং বন্ধ করতে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে সার্চ ইঞ্জিনগুলো সেন্সর করা শুরু করেছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের দাবির সাথে চলছিল এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগ সত্ত্বেও ভাইরাসটির মানবিক সংক্রমণকে অস্বীকার করে আসছিল।

বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন ডসিয়ার গোয়েন্দাদের তথ্য এক করে দেখিয়েছে, চীনের কাছে ডিসেম্বরের প্রথম দিক থেকে করোনাভাইরাস মানুষের মধ্যে সংক্রমণের প্রমাণ রয়েছে, তবে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত চীন সেটা অজুহাত দেখিয়ে এইভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে অস্বীকার করে চলে।

নথিতে স্পষ্ট ইঙ্গিত করা হয়েছে, চীনের অভ্যন্তরে ভ্রমণকারী ব্যক্তিদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও একইসময়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোকে জানিয়েছে— ভ্রমণ অব্যাহত রাখতে এবং বৈশ্বিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা অপ্রয়োজনীয়।