করোনাঃ বাজারে রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণে আতংকে স্থানীয়রা

এম ফেরদৌস, উখিয়া ◑
উখিয়া করোনাভাইরাসের আতঙ্ক এখন চরম আকার ধারণ করেছে মানুষের মাঝে। থমকে দাড়িয়েছে গোটা উখিয়া উপজেলা মানুষের জীবন যাপনের চিত্র।
এই করোনা প্রতিরোধে দেশের বিভিন্ন এলাকা,উপজেলা লকডাউন করে রেখেছে সরকার । এর মধ্যে উখিয়া উপজেলায় বিভিন্ন শপিংমল, স্থানীয় চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করে সাধারণ মানুষের জীবন-যাপন স্বাভাবিক রাখতে ঔষধ ও খাবারের দোকান, কাঁচা বাজার খোলা রাখা হয়েছে।
কিন্তু রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হিসাবে জনসমাগম,লোকালয় থেকে বিরত থাকলেও ছোট্ট এই উপজেলায় বাংলাদেশের সব চাইতে জনসংখ্যা বেশি থাকার কারণে করোনা মহামারি প্রতিরোধে অনেকটা ভয়াবহ রুপ নিতে পারে বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় গুনীজনরা।
কারণ, করোনা ছোয়াঁছে রোগ এটির প্রভাব পড়ে বেশিরভাগ ঘনবসতি এলাকায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১২ লাখের বেশি মানুষ গাদাগাদি করে জীবন যাপন করে যাচ্ছে একজন যদি করোনাভাইরাস সংক্রমণের আক্রান্ত হই তাইলে উখিয়াবাসীর জন্য এটি হবে অভিসপ্তজীবনের খন্ড চিত্র।
স্থানীয় একব্যক্তি বলেন, রোহিঙ্গাদের যদি এই মহামারী এসে যায় তাইলে এটি প্রতিরোধ করা সরকারের জন্য খুব কঠিন কাজ হইয়ে দাড়াতে পারে। সেই সাথে আমরা উখিয়াবাসীর জীবনে মহামারী বিপর্যয় নেমে আসতে পারে কেননা,রোহিঙ্গারা উখিয়াবাসীর চাইতে স্বাধীনভাবে চলাপেরা করে স্থানীয়দের সাথে মিশে বেড়ায় তাদের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।
অন্যদিকে দিকে, সরকার করোনা প্রতিরোধে বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীদের শতভাগ হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার লক্ষে প্রশাসনিক অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। অপ্রতিরোধ্য করোনাভাইরাস থেকে মানুষকে সুরক্ষিত রাখার জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ব্যতীত উপজেলার সকল প্রকার দোকানপাটসহ অধিকাংশ গণপরিবহণ,জনসমাগম, বিয়াবাডির অনুষ্ঠান সভা-সমাবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে কর্মহীন থাকলেও মানুষের ভিতরে এক প্রকার করোনা থেকে মুক্তির জন্য নিজ স্থান থেকে নিজেদের প্রস্তুতি নেওয়ার আসঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উখিয়া উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা হাট-বাজার ও এলাকায় ঘরে ঘরে গিয়ে বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টাইনে ও সাধারন জনগনকে করোনা সচেতন থাকার জন্য লিফলেট বিতরণ ও বাড়ির আঙ্গিনায় নোটিশ টাঙ্গিয়ে দিছে। সেই সাথে উখিয়া উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ অফিসের সামনে হ্যান্ডওয়াশের মাধ্যমে নিয়মিত হাত ধোয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।