কক্সবাজারে সরকারের সহায়তা বাড়ানোর দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক ◑

নভেল করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কক্সবাজারে সরকারের সহায়তা আরো বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকার, পরিবেশ ও কক্সবাজারের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করা সাতটি সংগঠন। একই সাথে ইতোমধ্যে সরকারের দেয়া সহায়তা নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংকট মোকাবেলা করার দাবি জানিয়েছে কক্সবাজার ভিত্তিক সাত সংগঠনের এ জোট।

১৫ মে এক যৌথ বিবৃবিতে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলোর নেতারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, কক্সবাজারে ইতোমধ্যে প্রায় দেড় লাখ পরিবারকে সহায়তা দিয়েছে সরকার। এসব পরিবারকে সহায়তার জন্য জেলায় পাঁচ ধাপে ১ হাজার ৮৫০ মেট্রিক টন চাল ও ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে এসব সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে বলে জানা গেছে।

কক্সবাজার ভিত্তিক এ জোটের সমন্বয়কারী ও রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজার এর সভাপতি এইচ এম নজরুল ইসলাম বিবৃতিতে বলেন, কক্সবাজারে সরকারের দেয়া ত্রাণ জেলা প্রশাসন তৃণমূল পর্যায়ে যেভাবে সমানভাবে বিতরণ করে যাচ্ছেন তা এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক। আশাকরি ভবিষ্যও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। তবে জনসংখ্যার তুলনায় এ সহায়তা পর্যাপ্ত নয়। কক্সবাজারে সরকারের বরাদ্দ আরও বাড়ানো প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারে সংকট দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। একারণে সহায়তা তৃণমূলে আরও ব্যাপকহারে পৌঁছানো দরকার। তাই কক্সবাজারে সরকারের সহায়তা আরও বৃদ্ধি করতে হবে।

যৌথ বিবৃতিতে দেন এনভায়রনমেন্ট পিপলস এর পক্ষে প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ, ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস) কক্সবাজার এর প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন, কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলন আহবায়ক মনির মোবারক, রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজারের সভাপতি এইচ,এম নজরুল ইসলাম, বেসরকারি সাহায্য সংস্থা চ্যারিটি রুফ ইন্টারন্যাশনাল এর প্রধান নির্বাহী আজিম নিহাদ, সামাজিক সংগঠন কক্সিয়ান এক্সপ্রেস এর সভাপতি ইরফানুল হাসান, সামাজিক সংগঠন “টিম কক্সবাজার” এর সমন্বয়ক রানা শর্মা ও গাজী নাজমুল ইসলাম।
উল্লেখ্য: প্রশাসনের দেয়া তথ্যমতে, ইউএনওর মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে পাওয়া চাহিদার ভিত্তিতে সরকার থেকে প্রাপ্ত সহায়তা পরিবার সংখ্যা, দারিদ্র্য, ঝুঁকির মাত্রা প্রভৃতি বিবেচনায় উপজেলাভিত্তিক সমভাবে বিতরণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী সদরের ২৬ হাজার ১০২ পরিবারের মাঝে ৩০২ দশমিক ৮ টন চাল, রামুর ৮ হাজার ৪৫২ পরিবারে ১১৯ টন, চকরিয়ার ৩১ হাজার ৮৯৯ পরিবারে ৩১৫ টন, পেকুয়ার ১১ হাজার ৮২৬ পরিবারে ১১৮ টন, মহেশখালীর ৯ হাজার ৫১৯ পরিবারে ১৫১ টন, কুতুবদিয়ার ৬ হাজার ৫০৫ পরিবারে ১০০ টন, উখিয়ার ৭ হাজার ৪৮৮ পরিবারে ৬৫ টন ও টেকনাফের ৫ হাজার ৩৪২ পরিবারের ৬৯ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।

এছাড়া পৌরসভাভিত্তিক আলাদা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার পৌরসভার ১২ হাজার ৪৭৩ পরিবারের ১২৫ দশমিক ২ টন, চকরিয়ায় ১০ হাজার ৬৬৩ পরিবারে ১১১ টন, মহেশখালীতে ৩ হাজার ১০০ পরিবারের ৫২ টন ও টেকনাফে ৪ হাজার ৭০ পরিবারে ২২ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। সর্বমোট ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৩৯ পরিবারের জন্য সহায়তা হিসেবে ১ হাজার ৫৫০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়া জিআর ৭৫ লাখ ৮৩ হাজার ১০৮ টাকা এবং শিশুখাদ্য বাবদ ২১ লাখ টাকা উপজেলা পর্যায়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।