কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রোগীর ঠাঁই বারান্দায়

সাইফুল ইসলাম• কক্সবাজার জার্নাল

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে হাসপাতালের ৫ম তলা থেকে তোলা

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মেঝেতেও জায়গা না পেয়ে অবশেষে রোগীর ঠাঁই মিললো বারান্দায়। বিশেষ করে হাসপাতালের ৫ম ও ৪র্থ তলায় রোগীর সংখ্যা বাড়তি। ফলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুন রোগী ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে। এই দু’তলায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুন রোগি ভর্তি রয়েছে। একদিকে যেমন রোগী বাড়ছে অন্যদিকে সেবার মানও কমছে বলে অভিযোগ রোগীর স্বজনদের। নিয়ম আনুসারে পর্যাপ্ত চিকিৎসক থাকলেও যে রোগী রয়েছে সে অনুযায়ী ডাক্তার নেই বলে জনান সংশ্লিষ্টরা।

হাসপাতালের ওয়ার্ডের বাহিরে বারন্দায় ও সিটের নিচে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি থাকায় রোগি দেখতে আসা স্বজনের চলাচল করতে কষ্টের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। মনে হচ্ছে ওয়ার্ডের বাহিরে আরেকটি হাসপাতালে রয়েছে। বরাদ্দের চাইতে দ্বিগুন রোগি সামাল দিতেও বেকাদায় রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

২৪ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, পুরো হাসপাতালজুড়ে রোগীদের ভীড় মোটামুটি থাকলেও ৪র্থ ও ৫ম তলায় রোগির সংখ্যা দ্বিগুন। এমনকি ওয়ার্ডের বাহিরেও অনেক রোগী ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। বিশেষ করে ৫ম ও ৪র্থ তলায় ওয়ার্ডের ভেতরে রোগী এত বেশি সেখানে জায়গার সংকুলন না হয়ে ওয়ার্ডের সামনে অনেক ফ্লোরে বেটসিট বিশিয়ে অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।

হাসপাতালের দৈনিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৫ম তলায় পুরুষ মেডিসেন ওয়ার্ডে বরাদ্দকৃত সয্যা সংখ্যা ৩০ জনের, ভর্তি হয়েছে ৬০ জন অতিরিক্ত ৩০ জন, ৪র্থ তলায় বরাদ্দকৃত শয্যা সংখ্যা ৩০ জনের ভর্তি হয়েছে ৮৬ জন অতিরিক্ত ৫৬ জন ও ২য় তলায় ডায়রিয়া ও সংক্রামক ব্যাধি ওয়ার্ডে বরাদ্দকৃত সয্যা সংখ্যা ২০ জনের ভতি হয়েছে ৪৩ জন অতিরিক্ত ২৩ জন। এছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে সিটিরে বাহিরে রোগি দেখা গেছে।

হাসপাতালের ৫ম তলার নার্সদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কয়েক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ৪র্থ ও ৫ম তলায় রোগির একটু চাপ বেশি। বেশির ভাগই দূঘটনা ও মারামারি সংক্রান্ত আহত রোগি। আমরা আমাদের সাধ্য মতো রোগিদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। রোগীর প্রতি কোন ধরণের অবহেলা করা হচ্ছে না।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর.এম.ও) ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে প্রচুর রোগি ভর্তি হয়েছে। বেশির ভাগই দূর্ঘটনা, মামামারি ও ডায়রিয়া জনিত রোগি। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ৯টায় পর্যন্ত হাসপাতালে রোগির ভর্তির সংখ্যা ছিল ৬২৩ জন। প্রতিদিনই বাড়তে শুরু করেছে রোগির সংখ্যা। তাই ওয়ার্ডের ভিতরে জায়গা না থাকায় বারান্দায় রাখতে হচ্ছে রোগিকে।