কক্সবাজারে মানবপাচারের ৬৩৭ মামলার স্বাক্ষী নিয়ে জটিলতা

বিশেষ প্রতিবেদক ◑

মানবপাচার আইনে দায়ের হওয়া মামলার বিচার না হওয়ায় বাড়ছে পাচারের ঘটনা। কক্সবাজারে এখন পর্যন্ত ৬৩৭টি মামলা হলেও বিচার হয়নি একটিরও। আইন কর্মকর্তার দাবি, এসব মামলায় সাক্ষী পাওয়া কঠিন তাই সহজে বিচার কাজ শেষ করাও কঠিন। তবে শুধু মামলা নয়, দালাল নিয়ন্ত্রণ ও মানবপাচার রোধে সমন্বিতভাবে কাজ করার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা। পুলিশ বলছে, ইতিমধ্যে দালালদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এদের ধরতে অভিযান চলছে।

সাগরপথে মানবপাচার আর প্রাণহানিকে ঘিরে আবারও আলোচনায় কক্সবাজার। বিভিন্ন সংস্থার পদক্ষেপের কারণে ২০১৪ সালের শেষ দিক থেকে অনেকটাই বন্ধ ছিল সাগরপথে মানবপাচার। কিন্তু রোহিঙ্গা শরনার্থীদের ঘিরে ২০১৭ সালের পর আবারও সক্রিয় হয়ে উঠে দালালচক্র।

পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত কক্সবাজার উপকূলে মানবপাচারের ঘটনা ঘটে ২৮টি। যেখানে ৭১৩ রোহিঙ্গাকে উদ্ধারের পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় ৬৯ জনকে।
কক্সবাজার জেলা আদালতের পিপি ফরিদুল আলম জানান, ২০১১ সাল থেকে কক্সাবাজারে মানবপাচার আইনে ৬৩৭টি মামলা হলেও তার একটির বিচারকাজও শেষ হয়নি। মামলা সমুহের কিছু কিছু চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়েছে। তবে মামলা সমুহের স্বাক্ষী পাওয়া নিয়ে একটু কঠিন। তবু রাষ্ট্রপক্ষ চেষ্টা চালাচ্ছে এসব মামলা শেষ করতে।

কক্সবাজার জেলা আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট অরুপ বড়ুয়া অপু বলেন, কোন সাক্ষী বিজ্ঞ আদালতে এসে সাক্ষ প্রদান করছে না। যার কারনে বিজ্ঞ আদালত সেই মানব পাচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারছে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মামলার বিচার না হওয়ার পাশাপাশি মানবপাচার প্রতিরোধে বিভিন্ন সময়ে নেয়া নানা উদ্যোগও বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে আবারও সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে দালালচক্র।
কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, যখন দুর্ঘটনা হয় বা মানুষ ডুবে মারা যায় তখন আমরা তৎপর হয়ে যাই।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, মানবপাচারের সাথে জড়িত দালালচক্র শনাক্ত হয়েছে। এখন চেষ্টা চলছে তাদের ধরার। এমনটি বিকাশের মাধ্যমে মানবপাচারের টাকা লেনদেনকারিও শনাক্ত। আমরা অচিরেই সবাইকে আইনের আওতায় আনতে পারবো।

সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাড়ি দিতে গিয়ে সবশেষ গত ১১ ফেব্রুয়ারী সেন্টমার্টিনের কাছে ট্রলার ডুবে মারা যায় অন্তত ২১ রোহিঙ্গা।
মানবপাচারের ৬৩৭ মামলার স্বাক্ষী নিয়ে জটিলতা
নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবপাচার আইনে দায়ের হওয়া মামলার বিচার না হওয়ায় বাড়ছে পাচারের ঘটনা। কক্সবাজারে এখন পর্যন্ত ৬৩৭টি মামলা হলেও বিচার হয়নি একটিরও। আইন কর্মকর্তার দাবি, এসব মামলায় সাক্ষী পাওয়া কঠিন তাই সহজে বিচার কাজ শেষ করাও কঠিন। তবে শুধু মামলা নয়, দালাল নিয়ন্ত্রণ ও মানবপাচার রোধে সমন্বিতভাবে কাজ করার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা। পুলিশ বলছে, ইতিমধ্যে দালালদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এদের ধরতে অভিযান চলছে।

সাগরপথে মানবপাচার আর প্রাণহানিকে ঘিরে আবারও আলোচনায় কক্সবাজার। বিভিন্ন সংস্থার পদক্ষেপের কারণে ২০১৪ সালের শেষ দিক থেকে অনেকটাই বন্ধ ছিল সাগরপথে মানবপাচার। কিন্তু রোহিঙ্গা শরনার্থীদের ঘিরে ২০১৭ সালের পর আবারও সক্রিয় হয়ে উঠে দালালচক্র।

পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত কক্সবাজার উপকূলে মানবপাচারের ঘটনা ঘটে ২৮টি। যেখানে ৭১৩ রোহিঙ্গাকে উদ্ধারের পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় ৬৯ জনকে।
কক্সবাজার জেলা আদালতের পিপি ফরিদুল আলম জানান, ২০১১ সাল থেকে কক্সাবাজারে মানবপাচার আইনে ৬৩৭টি মামলা হলেও তার একটির বিচারকাজও শেষ হয়নি। মামলা সমুহের কিছু কিছু চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়েছে। তবে মামলা সমুহের স্বাক্ষী পাওয়া নিয়ে একটু কঠিন। তবু রাষ্ট্রপক্ষ চেষ্টা চালাচ্ছে এসব মামলা শেষ করতে।

কক্সবাজার জেলা আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট অরুপ বড়ুয়া অপু বলেন, কোন সাক্ষী বিজ্ঞ আদালতে এসে সাক্ষ প্রদান করছে না। যার কারনে বিজ্ঞ আদালত সেই মানব পাচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারছে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মামলার বিচার না হওয়ার পাশাপাশি মানবপাচার প্রতিরোধে বিভিন্ন সময়ে নেয়া নানা উদ্যোগও বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে আবারও সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে দালালচক্র।
কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, যখন দুর্ঘটনা হয় বা মানুষ ডুবে মারা যায় তখন আমরা তৎপর হয়ে যাই।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, মানবপাচারের সাথে জড়িত দালালচক্র শনাক্ত হয়েছে। এখন চেষ্টা চলছে তাদের ধরার। এমনটি বিকাশের মাধ্যমে মানবপাচারের টাকা লেনদেনকারিও শনাক্ত। আমরা অচিরেই সবাইকে আইনের আওতায় আনতে পারবো।

সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাড়ি দিতে গিয়ে সবশেষ গত ১১ ফেব্রুয়ারী সেন্টমার্টিনের কাছে ট্রলার ডুবে মারা যায় অন্তত ২১ রোহিঙ্গা।