ভাবনা -১

কক্সবাজারে ডিনার,সেমিনার পার্টির নামে এনজিও সংস্থার নারী কর্মীদের রাত্রিযাপন

আবুল কাশেম সাগর :

আমার জন্ম কক্সবাজারে। এক সময় কক্সবাজারে জন্ম হয়ে নিজেকে খুব গর্বিত মনে করতাম। কিন্তু সময়ের বিবর্তনের সাথে ২০১৭ সালে আগষ্ট মাসে বার্মা সরকারের মগদের হাতে অত্যাচারিত মুসলিম জনগোষ্ঠি প্রাণ বাঁচাতে আমাদের জেলাতে আগমণ হলো। তখন তাদের ( রোহিঙ্গা) মানবিক সেবা দিতে আমাদের বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রাধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা থেতে শুরু করে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

পরবর্তীতে এসব বাস্তুহারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য আবির্ভাব হলো এনজিও সংস্থা গুলোর।আর এ সব এনজিও সংস্থায় চাকুরী পেতে শুরু করলো কক্সবাজার জেলাসহ বিভিন্ন জেলা হতে কলেজে পড়ুয়া তরুন- তরুণীরা। আর এসব এনজিও সংস্থা গুলো এখন কর্মরত নারীকর্মীদের যৌথ সম্পর্কের কথা আমরা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে দেখে আসছি প্রতিনিয়ত। এখন কথা হচ্ছে।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সেবায় নিয়োজিত এনজিও সংস্থায় কর্মরত নারীদের রাত্রীকালীন সময়ে উন্নত মানের হোটেল মোটেলে সভা সেমিনারের উদ্দেশ্য কি?

রোহিঙ্গা ইস্যুর পরবর্তী সময় হতে দেখা যাচ্ছে রোহিঙ্গা বস্তিতে চাকুরী করার সুযোগে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা বাদ দিয়ে স্থায়ীভাবে চাকুরীতে নিয়োজিত করছেন।

এতে করে দেখা যায় কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এইচএসসি, অনার্স পাশ না করে তারা কর্মে জড়িয়ে পড়ছে। এ ধরণের চলতে থাকলে কক্সবাজার জেলায় এক সময় মেধা শূণ্য হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকুরী সুবাদে ছেলে-মেয়েরা যেভাবে বেপরোয়া হয়ে জীবন যাপন করছে এতে করে পারিবারিক, সামাজিক মূ্ল্যবোধ কমতে শুরু করছে।

উক্ত বিষয় গুলো নিয়ে সমাজ সচেতন ব্যক্তিবর্গদের গভীরভাবে ভেবে দেখার সময় এসেছে বলে অামি মনে করছি। এনজিও সংস্থা গুলো কক্সবাজার, চট্রগ্রামে বিভিন্ন নামিদামি হোটেল মোটেল গুলোতে সভা সেমিনারের নামে রাত্রিযাপনের যে কালচার শুরু করেছে এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এক সময় কক্সবাজার জেলাকে বহিঃবিশ্বে অন্য ধরণের পরিচিতি পাবে বলে সন্দেহ লাগছে।

পরিশেষে আমি কক্সবাজার জেলা সমাজ সচেতন নাগরিকবৃন্দ, কক্সবাজার জেলার সুধীজন, মাননীয় জেলার অভিভাবকবৃন্দের কাছে অনুরোধ করবো আপনারা এনজিও সংস্থার বেপরোয়া সন্দেহভাজন কার্যক্রম সেমিনারের নামে নারী কর্মীদের তারকা মানের হোটেলে যাত্রিযাপন বন্ধকল্পে উদ্যোগ না নিলে কক্সবাজারের ভাবমূর্তি রক্ষাকরা কঠিন হবে।

লেখক:
আবুল কাশেম সাগর
সংবাদকর্মী।