কক্সবাজারে কাঁচামরিচের কেজি আড়াইশ: ৫০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি

কক্সবাজার শহরের কানাইবাজার থেকে তোলা ছবি।

সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল ◑ 
বাজারে কাঁচামরিচের কেজি আড়াইশ এবং ৫০ টাকার নিচে কোন সবজিই বিক্রি হচ্ছে না। দাম নতুন করে আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে ক্রেতারা। কিন্তু সবজি কিনতে এসে অনেকে ক্রেতাই হতাশ প্রকাশ করেছে। বাজারে ভালো মানের কাঁচামরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। অর্থাৎ এক কেজি কাঁচামরিচের দাম পড়েছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা।
বাজারে একমাত্র কচু ও ললিতা আলু ছাড়া কোনো সবজির কেজি ৫০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা চরম বিপাকে পড়েছে। এভাবেই দিনের পর দিন সবজির দাম বাড়তে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে বলে জানান ক্রেতারা। উৎপাদনের চেয়ে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে দাবি বিক্রেতাদের। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় ক্ষেত-খামার নষ্ট হওয়াতে দাম একটু বাড়তি।

বৃহস্পতিবার (৩সেপ্টম্বর) কক্সবাজার শহরের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভালো মানের কাঁচামরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। অধাকেজি নিলে এসব মরিচের দাম রাখা হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। আর এক কেজি নিলে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা দাম রাখা হচ্ছে।

কাঁচামরিচের চড়া দামের বিষয়ে কানাই বাজারে ব্যবসায়ী মো. আব্দুর রহিম বলেন, বন্যা আর বৃষ্টিতে সব ক্ষেত শেষ। এরপরও কিছু কাঁচামরিচ পাওযা যাচ্ছে এই ভালো। বাজারে কাঁচামরিচের যে সরবরাহ তাতে কেজি ৩০০ টাকা হলেও আশ্চর্যের কিছু নেই।
পিটিস্কুল বাজারে সবজি ব্যবসায়ী সেলিম বলেন, গত সপ্তাহে এক পোয় কাঁচামরিচ ৫০ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু আজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকার নিচে বিক্রি করা সুযোগ নেই। তবে এক কেজি নিলে ২৬০-২৬৫ টাকা রাখা যাবে।
বাজারে দেখা গেছে, সারি সারি সাজানো দোকানগুলোতে, ঢেঁড়স, বরবটি, বেগুন, পটল, চিচিঙ্গা, গাজর, মিষ্টি কমড়া, তিতকরলা, কাকরোল, কচু, টমেটো, কচুর লতি, শসা কেজি প্রতি সর্ববনিম্ন ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কালুর দোকান বাজারে এক সিএনজি চালক মো. রুবেল দোকানদারের কাছে বরবটি ও পটলের দাম জানতে চান, দোকানদার ফারুক মিয়া জানান, পটল ৬০, বরবটি ৬৫ টাকা, একদম। বরবটি ৫০ টাকায় দিবেন বলতেই, দোকানদার লাফিয়ে উঠে বলেন, নিলে নেন না নিলে চলে যান। এতো কথা বলার সময় নেই।

শহরের দুইটি বাজার কানাই ও পিটিস্কুল বাজারে কেজি প্রতি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, বরবটি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৬৫, ঢেঁড়শ ৫০ থেকে ৫৫, টমেটো ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, তিতকরলা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫৫ থেকে ৬০, গাজর ১০০ টাকা, কাকরোল ৬০, টাকা মুলা ৬০, কচু ৫০ টাকা, কচুরলতি ৬০, শসা ৫০ টাকা, পেয়াজ ৪৫ থেকে ৫২ টাকা, রসুন ১৫০ টাকা, আদা ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

স্থানীয় অনেকেই জানান, এভাবেই সবজির দাম দিন দিন বাড়তে থাকলেই মানুষের কষ্টের সীমা থাকবে না। এমনিতেই চলমান করোনা ভাইরাসের কারণে ঘরেবন্দি থাকতে গিয়ে অসহায়ত্বের মধ্যে রয়েছে।

সবজি বিক্রেতা জসিম উদ্দীন জানান, পাইকারী বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। উৎপাদনের চেয়ে চাহিদা বেড়ে যাওয়াতে দাম একটু বৃদ্ধি। এছাড়াও ঘূর্নিঝড় ও বন্যার কারণে অনেক ক্ষেত-খামার নষ্ট হয়ে গেছে। তাই দাম একটু বাড়া।