কক্সবাজারে করোনার সর্বোচ্চ রেকর্ড: একদিনে ৫ রোহিঙ্গাসহ ৮৯জন আক্রান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক ◑

মহামারী করোনা ভাইরাসের হটস্পট কক্সবাজার জেলায় কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের কারনে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। সাথে শুরু হয়েছে মৃত্যূর মিছিল। শেষ ২৪ ঘন্টায় নতুন করে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫ রোহিঙ্গা সহ ৮৯ জন।

নতুন করে সংক্রমণের জেরে জেলায় ভাইরাসটিতে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৫ রোহিঙ্গা সহ ৭৯৩ জন। আর ১লা জুন সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২ করোনা রোগী সহ উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এনিয়ে জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা দাড়াল ১৫ জনে।

সোমবার বিকালে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পিসিআর ল্যাবে ২৮৩ টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে ৯৬ টি নমুনার ফল আসে পজিটিভ।

এর মধ্যে নতুন ৯২ টি। আর সদরের ৩৫ জন সহ জেলায় শনাক্ত হয়েছে ৮৯ জন।এদের মধ্যে ৫ রোহিঙ্গাও রয়েছে।

আক্রান্তদের মধ্যে সদরের ৩৫ জন,রামুর ২২ জন, চকরিয়ার ১৪, উখিয়ার ৭ জন, টেকনাফের ৪ জন, পেকুয়ার ২জন এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫ জন।

এছাড়া সাতকানিয়া ১ জন এবং চান্দগাও‘র-১ জন নতুন পজিটিভ আছেন। বাকি ৪টি ফলোআপ।পূর্বের আক্রান্ত । দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করেও তাদের শরীরে করোনা পজিটিভ আসে।বাকি ১৮৭ জনের নেগেটিভ আসে।

এনিয়ে জেলায় ৬১তম দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা দাড়াল ৩৫ রোহিঙ্গা সহ মোট ৭৯৩ জন। এর মধ্যে মাত্র শেষ ১৪দিনেই জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪৪ জন।

জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল থেকে কক্সবাজার জেলায় করোনার হটস্পট সদর উপজেলায় আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি। এখানে মোট আক্রান্ত‘র সংখ্যা ৩৫০ জন। এছাড়াও দ্বিতীয় অবস্থানে চকরিয়া উপজেলা ১৭১ জন। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে উখিয়া।

এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১০৫ জন। এর পরে রয়েছে পেকুয়ায় ৪২ জন, মহেশখালীতে ৩২ জন,রামুতে ৩৬ জন, টেকনাফে ৩৬ জন,কুতুবদিয়ায় ৩ জন।এছাড়া শরনার্থী শিবিরের রোহিঙ্গা রয়েছে ৩৫ জন।

এদিকে সোমবার কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা গেছেন-সদরের পোকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম গোমাতলীর ৮ নং ওয়ার্ড ও পৌরসভার পাহাড়তলী নিবাসী এচারুল করিম(৩৬) , টেকনাফ পৌরসভার ডেইলপাড়া এলাকার মনোয়ারা বেগম (৫৫) এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কক্সবাজার পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মধ্যম নুনিয়ারছড়ার মোহাম্মদ করিম(৩০)।

কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা.মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, ৩১মে পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশন (নিভৃতবাস) ইউনিটে ভর্তি রয়েছে ১০০ জন কভিড-১৯ রোগী।

এছাড়া রোহিঙ্গা আইসোলেশন ইউনিটেও ৩০জন ভর্তি রয়েছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১১৬ জন। হোম কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন ২৫৫জন। আর মারা গেছেন ১৩ জন।