কক্সবাজারে অরুণোদয়ের প্রতিবন্ধী ছাত্রের গান শুনে মুগ্ধ স্পীকার ড.শিরিন শারমিন

মাসেদুল হক আরমান ◑
কক্সবাজারে শিক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখে চলছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন। কক্সবাজারে যোগদান পরবর্তী সময়ে নিজেকে প্রশাসক নয়, সেবক হিসেবে মানবতার কল্যাণে সঁপে দিয়েছেন।

তার একটি উৎকৃষ্ট উদাহারণ কক্সবাজার ডিসি কলেজ ও প্রতিবন্ধী পথশিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত অরুণোদয়। আজ অরুণোদয় স্কুল পরিদর্শনে যান জাতীয় সংসদের স্পীকার- ড.শিরিন শারমিন। তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা আর শ্রদ্ধায় বরণ করেন অরুণোদয় স্কুলের প্রতিবন্ধী ছাত্ররা।স্পীকারের উপস্থিতিতে এক আনন্দঘন আবহ সৃষ্টি হয়।

অরুণোদয় স্কুলের প্রতিবন্ধী ছাত্র আবদুল আল আমিন কক্সবাজারের সেই বিখ্যাত আঞ্চলিক গান মধু. হই. হই. বিষ খাওয়াইলা গানটি গেয়ে স্পীকার- ড. শিরীন শারমিন সহ উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করেন। পথশিশু ও প্রতিবন্ধী শিশুদের সরকারের পক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন অরুণোদয় প্রতিষ্টা করায় উপস্থিত সকলে ভূয়ঁসী প্রশংসা করেন।

এসময়- কক্সবাজার সদর- রামু ০৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল, চকরিয়া -পেকুয়া ০১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম, মহেশখালী-কুতুবদিয়া ০২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার জেলা আওয়ামিলীগ সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন সহ জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসক একটি ফেইসবুক স্ট্যাটাসে কোমলমতি প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি নিজের অকৃত্রিম ভালবাসা প্রকাশ করে লিখেন…. আবদুল আল আমিন। আমার অরুণোদয়ের প্রতিবন্ধী ছাত্র। কক্সবাজার ছেড়ে যাবার সময় অন্য কোন কিছুর জন্যই কষ্ট অনুভব হবেনা, হবে তোদের জন্য। তোদের পাশে ছায়া হয়েই থাকব যতদিন বেঁচে থাকি।

জেলা প্রশাসকের এমন ফেইসবুক স্ট্যাটাসে তিনি যে শুধু প্রশাসক নয়, সেবক হিসেবে কাজ করার যে মানসিকতা তা ফুটে উঠেছে তার লিখায়।তার সে স্ট্যাটাসে দেশের অনেক মানুষ এমন মহৎ কাজের প্রসংশা করে তার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখার অনুরোধ জানিয়ে ধন্যবাদ জানান।